টিভির পর্দায় কখনও জন্মদাত্রী মা হিসাবে কখনও আবার পালিতা মা হিসাবে নজর কেড়েছেন তিনি, এক কোথায় বলতে গেলে, পর্দায় একজন আদর্শ মা হিসাবে জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। হ্যাঁ, ঠিকই ধরেছেন কথা হচ্ছে বাংলা টলিউড ইন্ডাস্ট্রির একজন নাম করা অভিনেত্রী অপরাজিতা আঢ্য কে নিয়ে।
আজও সিরিয়ালপ্রেমী বাঙালি দর্শকদের কাছে তিনি লক্ষ্মী কাকিমা, আবার কখনও ‘জল থৈ থৈ ভালবাসা’র কোজাগরী। স্বামী অতনু হাজরার সঙ্গে দীর্ঘ ২৬ বছরের বিবাহিত জীবনে কখনও সন্তানের মুখে মা ডাক শোনার সুযোগ হয়নি তার। তবুও বাস্তব জীবনে মা ডাকার আক্ষেপটা পূরণ করেছে তার মেয়ে গার্গী।
গার্গী, অবশ্য অপরাজিতা আঢ্য়ের বায়োলজিক্যাল সন্তান নয় তবুও অপরাজিতার কাছে গার্গী নিজের সন্তানের থেকে কম কিছু নয়। সম্প্রতি টিভি ৯ বাংলাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মা ও মেয়ে জানিয়েছেন তাদের গোপন কথা।
অপরাজিতার মেয়ে গার্গীর আসল বাড়ি হাওড়ায়। জানা যায় অপরাজিতার বাপের বাড়ির পাড়ায় বাড়ি গার্গীর। ১৬-১৭ বছর বয়স পর্যন্ত নিজের বাবা-মায়ের কাছে থাকলেও বর্তমানে নিজের বাবা-মাকে ছেড়ে অপরাজিতা আর তার স্বামী অতনুর কাছেই থাকেন গার্গী।
অন্যদিকে গার্গী জানিয়েছেন, তার যখন ১৬-১৭ বছর বয়স তখন হঠাৎই একদিন টিভির পর্দায় অপরাজিতাকে দেখে তাকেই নিজের মা বলে মনে হয়েছিল। তারপর একদিন ফোন নম্বর যোগাড় করে অপরাজিতাকে ফোন করাতে অবলীলায় মা বলে ডাকার আর্জি জানায় গার্গী। এই পুরো ঘটনা টাকেই ঈশ্বরের এক অদ্ভুত যোগ বলে মনে করেন গার্গী।
প্রথমে খানিকটা অপ্রস্তুত মনে করলেও আজ অপরাজিতাই হয়ে উঠেছেন তার একমাত্র মেয়ের মণিমা। গার্গীর কথায়, তাকে নাকি অনেকটা তাদের মতই দেখতে লাগে। গার্গী মনে করেন তার মণিমাই তাকে জন্ম দিয়েছেন। জন্মদাত্রী মা থাকা সত্ত্বেও তার মণিমাই হয়ে উঠেছেন তার যশোদা মা। কিছুদিন আগেও অপরাজিতা-অতনুর সঙ্গে নৈনিতাল বেড়াতে গিয়েছিলেন গার্গী। সেই ছবিও পোস্ট করেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।
পেশায় একজন ব্যাঙ্কার গার্গী, বর্তমানে তার বয়স ৩৬। গত ২০ বছর ধরে তার মণিমার কাছেই থাকেন গার্গী। এমনকি অনেকবার তার বিয়ের প্রসঙ্গ উঠলে কোনবারই রাজি হননি গার্গী। তারমতে সে তার মণিমাকে ছেড়ে কোথাও যেতে চাননা।