‘কেঁদে ফেলেছি, রান্নাঘর হচ্ছে অথচ আমি নেই’, ‘রান্নাঘর’ শো থেকে বাদ পড়ায় আক্ষেপ প্রাক্তন সঞ্চালিকা সুদীপা’র

সুদীপা

টানা ১ বছরের পর জি-বাংলায় ফিরছে জনপ্রিয় পুরনো শো ‘রান্নাঘর’। ‘রন্ধন বন্ধন’ তেমন জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় আবার সেই পুরনো শোকেই ফিরিয়ে আনছেন চ্যানেল। তবে এবার সুদীপা নয়, অভিনেত্রী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে আসছে ‘রান্নাঘর’।

তবে ১৭ বছর ধরে সুদীপা চট্টোপাধ্যায়ের হাত ধরে এই শো বাংলার ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছিল। এমনকি মানা হত, ‘দিদি নং ১’ যেমন রচনা ছাড়া অসম্পূর্ণ ঠিক তেমনি ‘রান্নাঘর’ও সুদীপা ছাড়া বেমানান। আচমকাই এই শোয়ের সঞ্চালক পাল্টানো অনেকেই মত বিরোধ জানিয়েছেন। কারো সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চ্যানেল আবার কারো কারো মতে সুদীপা-কে ফিরিয়ে আনা হোক।

‘রান্নাঘর’ শো হাতছাড়া হওয়ায় মন খারাপ স্বয়ং প্রাক্তন সঞ্চালিকা সুদীপারও। এবার সেই নিয়ে আক্ষেপ জানালেন সঞ্চালিকা অভিনেত্রী।

টিভিনাইন বাংলাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সুদীপা আক্ষেপের সাথে জানান, “সত্যি কথা বলতে কি, খুব মন খারাপ লেগেছিল। আসলে আমার পরিচয়ই তো ওই রান্নাঘর দিয়েই। প্রথম যখন রন্ধনে বন্ধনের প্রোমো দেখেছিলাম তখন বাচ্চাদের মতো কেঁদে ফেলেছিলাম। আর এ ক্ষেত্রেও যখন দেখলাম আমারই বান্ধবী কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায় হোস্ট করছে তখনও খুব দুঃখ লেগেছে। ভেবেছিলাম ও তো আমায় একটু জানাতে পারত। শুধু মনে হয়েছে রান্নাঘর হচ্ছে অথচ আমি নেই! আসলে এই শো’টার সঙ্গে তো টাকাপয়সার সম্পর্ক নেই শুধু, বাড়ির থেকে জিনিসপত্র নিয়ে এই শো শুরু করেছি। নিজে বাসন মেজেছি। শুধু মনে হয়েছে ওটা তো আমারই রান্নাঘর।’

সুদীপা আরও জানান, ‘অগ্নিদেব আমাকে বুঝিয়েছেন যা শুরু হয় তার তো শেষ হবেই। তুমি বরং দুঃখ কোরো না, ওদের শুভেচ্ছা জানাও। আমারও তখন মনে হল, হ্যাঁ ঠিকই তো, কনি তো আমার বন্ধু, সুগৃহিণীও। হয়তো ও করলে অন্যরকম একটা স্বাদ আসবে। আসলে আমি বা অপাদি নেকটা একই রকম, তাই আমি আবারও এলে হয়তো মানুষের মধ্যেও একঘেয়েমি চলে আসত। ওঁরাও হয়তো বিরক্ত হতেন, বলতেন— ওই সুদীপার এক কথা, এক শাড়ি… তার চেয়ে হয়তো এই ভাল। কনি এলে নতুন কিছু হবে। স্বাদবদল হবে।”

কনীনিকা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করে সুদীপা এই সাক্ষাৎকারে জানান, ‘ ও আমাকে ফোন করেনি বলে সত্যিই অভিমান হয়েছিল, মনে হচ্ছিল, কেন অন্যের কাছ থেকে শুনতে হল? এত ভাল বন্ধু, কেন আমাকে বলেনি? পরে যদিও ওর জায়গায় নিজেকে রেখে ভাবলাম, সত্যিই তো ফোন করে কী বা বলত ও আমায়? যদি ওটা শুনে আমিও ভ্যা করে কেঁদে দিতাম, তখন? আরও বাজে পরিস্থিতি হত।’