বাংলা নৃত্যশিল্পের জগত থেকে শুরু করে অভিনয়ের জগত, সব ক্ষেত্রে তার অবাধ বিচরণ। যিনি দুই পৃথিবী, হেমন্তের পাখি, হামি, অপরাজিতা তুমি, সহ একাধিক সিনেমায় অভিনয় করে মন জয় করেছেন সকলের। তিনি হলেন প্রখ্যাত নৃত্যশিল্পী, কোরিওগ্রেফার এবং অভিনেত্রী তনুশ্রী শঙ্কর।
সম্প্রতি কোন এক সাক্ষৎকারে, নৃত্যশিল্পীর কথায় উঠে এসেছে আগামী প্রজন্মের নৃত্যশিল্পীদের নিয়ে নানা কথা। তিনি জানিয়েছেন, তার পরিবারের কেউই নাচ শেখেননি, সকলেই ডাক্তার নাহয় উকিল। তবে ছোট থেকেই নাচের প্রতি অদ্ভুত একটা ভালোবাসা ছিল বলে তার বাবা তাকে উদয় শঙ্কর কালচারাল সেন্টারে ভর্তি করিয়ে দেন পন্ডিত কমলেশ্বর শঙ্করের কাছে।
এরপরই বিখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী আনন্দ শঙ্করের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন তনুশ্রী শঙ্কর। তিনি আরও জানান, স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সাপোর্টেই তিনি নাচটাকে পেশা হিসাবে ভাবতে পেরেছিলেন। এমনকি নাচকে যারা কর্মজীবনে পেশা হিসেবে ভাবছেন সেই সব নৃত্যশিল্পীদের উদ্দেশ্যে তিনি জানিয়েছেন, ‘কেউ যখন বলে কি করো, বলি নাচ করি, কিন্তু অপরপ্রান্ত থেকে উত্তর আসে নাচ তো করো আর কি করো।’
তিনি আরও বলেন, ‘নাচটাকে কেউ প্রফেশন হিসেবে ভাবতেই পারেনা। তাই সবার আগে নিজেকে সেই জায়গায় নিয়ে যাও, ভালো করে শেখো, তবে একদিনে হবে না কিন্তু প্র্যাকটিস চালিয়ে যেতে হবে। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে হবে, ইউটিউব দেখে না শিখে গুরুর কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নাও। এখনকার মেয়েরা ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, কোম্পানির বস হতে পারলে নৃত্যশিল্পী হবে না কেন?’ আগামী প্রজন্মকে এক অনবদ্য শিক্ষা দিলেন নৃত্যশিল্পী।