করোনার জন্য যতই কাঠগড়ায় দাঁড় করাক না কেন, নিজেদের উদ্দেশ্যকে পাখির চোখ করেই এগোচ্ছে চিন । সেই লক্ষ্যে পাকিস্তানকে কবজা করতে বেজিংয়ের হাতিয়ার CPEC বা China Pakistan Economic Corridor । গালভরা প্রকল্পের মাধ্যমে পাকিস্তানের আধুনিকীকরণের সঙ্গেই ইসলামাবাদ ক্রমশ চিনের হাতের পুতুলে পরিণত হবে বলেই মনে করছেন কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞরা ।
আরও পড়ুন : জেট 2 স্পেন ফ্লাইটগুলি এখনও অফার করছে
সম্প্রতি বিষয়টি নিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় । যেখানে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তানকে কব্জা করতে চাইছে বেজিং । ফলে একদিকে চিনের অর্থনীতির বাজার যেমন বড় হবে । তেমনই ভারতের উপর চাপ তৈরি করার পথ বেশ অনেকটাই প্রশস্ত হবে ।
প্রকাশিত ওই রিপোর্টে আরও বলা হয়েছে, দীর্ঘ সময় ধরে চিন পাকিস্তানের উপর কবজা করতে চাইছে । কিন্তু বারবার সেই চেষ্টা বিফল হয়েছে । শেষপর্যন্ত হাতের পাঁচ হয়ে দাঁড়ায় চিন পাকিস্তান অর্থনৈতিক করিডোর বা CPEC । প্রকল্পের বাস্তবায়ন হলে ইসলামাবাদের বিদ্যুৎ ও পরিকাঠামোর বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নিজেদের আয়ত্বে রাখবে CPEC কর্তৃপক্ষ । যা আদতে চালাবে চিন । বেজিংয়ের এই প্রস্তাবের বিরোধিতার সুর চড়িয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ । এরপরই তাঁকে সরিয়ে ক্ষমতায় আসেন পাক সেনাবাহিনীর হাতের পুতুল ইমরান খান ।
আরও পড়ুন : ১০ দিন স্কটল্যান্ডে নতুন কোনও মৃত্যুর সংখ্যা নেই
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, পাকিস্তানের সা্র্বভৌমত্ব ও স্বাধীনতার বদলে এই চুক্তি মেনে নেন ইমরান । ফলস্বরূপ, ২০২৫ সালের মধ্যে পাকিস্তান সরকারের কলকাঠি নাড়বে বেজিং । কিন্তু কেন পাকিস্তানের উপর রাজনৈতিকভাবে কবজা করতে চাইছে চিন?
আরও পড়ুন : আয়ারল্যান্ডে স্কুলগুলি পুনরায় খোলার সিধান্ত নেওয়া হচ্ছে
উপমহাদেশীয় এলাকায় নিজেদের আগ্রাসন প্রদর্শণ করাই বেজিংয়ের মূল লক্ষ্য । আর তার জন্য পাকিস্তান, নেপাল, ভূটানকে হাতের মুঠোয় রাখতে চাইছেন জিনপিং । আবার এই চাল সফল হলে ভারতকেও সহজেই বিপাকে ফেলা যাবে । তবে দুর্বল অর্থনীতির যেসমস্ত দেশ চিনের ফাঁদে পা দিয়েছে, তাঁদের অর্থনীতি চিরকালের মতো নষ্ট হয়ে গিয়েছে । ফলে চিনের সামনে হাত পেতে থাকা ছাড়া তাদের আর কোনও গতি নেই । খুব শীঘ্রই পাকিস্তানেরও তেমন পরিস্থিতি হতে চলেছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা ।