বাংলা টেলিভিশনের ছোট পর্দা থেকে বড় পর্দা এবং বলিউড জগতে পা। অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী অন স্ক্রিন জীবন যতটা সহজ ছিল, ততটা সহজ ছিল না তার ব্যক্তিগত জীবন। বাবার সাথে সম্পর্ক নেই অভিনেত্রীর। তার মা তাকে এবং তার দিদিকে ছোট থেকে একাই মানুষ করেছেন।
এক সাক্ষাৎকারে নিজের মায়ের প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে মুখ খুললেন ঋতাভরী। অভিনেত্রী জানায়, ‘গার্হস্থ হিংসার বিরুদ্ধে লড়াই করে আমার মা, আমাকে এবং দিদিকে নিয়ে বাড়ি ছেড়ে চলে এসেছিল দাদু-দিদার কাছে’। বাবা কখনো দায়িত্ব নিতে চাননি।
অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী জানান, তার মা অনেক বাঁধা সত্ত্বেও তাকে পৃথিবীতে এনেছেন। পরিচালক হিসাবে মা ক্যারিয়ার শুরু করেন এবং ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের পরিশ্রমে জায়গা করে নেন। তাও কোনোদিন বাবার থেকে কিছু চায়নি।
ঋতাভরী যখন ক্লাস সিক্সে পড়েন, তখন তার মা তিনটি মেয়েকে পাচার হওয়া থেকে উদ্ধার করে এনেছিলেন এবং একটি এনজিও খোলেন এবং ওই তিনটি মেয়ের দায়িত্ব নেন শতরূপা স্যান্যাল।
ছবি লেখার পাশাপাশি অভিনেত্রীর মা প্রচুর সমাজসেবামূলক কাজের সাথে জড়িত। পশুদের অধিকার নিয়ে তার মা লড়াই করেন।
অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী জানান, ‘মাত্র ১৮ বছর ব্যসে আমি একটি স্কুলের সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নিয়েছিলাম। আমার ইনস্পিরেশন, আমার মা।
ঋতাভরী মা অর্থাৎ শতরূপা স্যান্যাল ঝাড়গ্রামের একটি গ্রাম দত্তক নিয়েছেন। এই গ্রামের শিক্ষা এবং মানুষদের হাতের কাজ শিখিয়ে আত্মনির্ভর করে তুলছেন মা ও মেয়ে মিলে।
View this post on Instagram
অভিনেত্রী জানান, এত ভালো কাজ করার পরও কিন্তু আমার মাকে অনেক মানুষের কাছে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা শুনতে হয়। কোন সন্তানই চায়না তার বাবা-মা আলাদা থাকুক। তবে আমার মাকে কতটা যন্ত্রণা সহ্য করতে হয়েছে তা একমাত্র আমি জানি। বাইরের লোক বুঝবে না।
ঋতাভরী চক্রবর্তী এত সাহসী তার মূল কারণ তার মা। ঋতাভরীর কথায় আমার মা আমাকে শক্তভাবে কাজ করতে শিখিয়েছে, নিজের কথা না ভেবে সমাজের কথা ভাবতে শিখিয়েছে।