বর্তমান সময়ে দর্শকমহলে একমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হল বাংলা সিরিয়াল। বাংলার ঘরে ঘরে সন্ধ্যে থেকে রাত অব্দি দর্শকদের এন্টারটেইন করে চলেছে এই ধারাবাহিক গুলি। তবে যাদের লেখার উপর ভিত্তি করে টিভির পর্দায় উঠে আসে ধারাবাহিকের সুন্দর গল্প গুলি, তাদের অবদানও কিন্তু কম নয়। বাংলা টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে এমন ৫ জন লেখক লেখিকারা রয়েছেন যাদের ছাড়া বাংলা ইন্ডাস্ট্রি প্রায় অচল। চলুন আজ তাদের সম্পর্কে জেনে নিই।
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
বাংলা সিরিয়ালের লেখক লেখিকাদের কথা ভাবলেই যার কথা আগে মনে আসে তিনিই হলেন লীনা গঙ্গোপাধ্যায়। সকলের কাছে লীনা পিসি হিসেবেই বেশি পরিচিত। তার কলম থেকেই উঠে এসেছে ইচ্ছেনদী, নকশি কাঁথা, ফাগুন বউ, ইষ্টিকুটুম, কেয়া পাতার নৌকা, শ্রীময়ীর মত বেশ কিছু জনপ্রিয় সিরিয়ালের গল্প। বর্তমানে ইচ্ছে পুতুল, জল থৈ থৈ ভালোবাসা, কার কাছে কই মনের কথা ধারাবাহিক গুলো তারই লেখা।
অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়ঃ
লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের ছেলে অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়। তিনিও কিন্তু মায়ের মতই প্রতিভাবান। মায়ের লেখা গল্পের উপর ভিত্তি করেই ইচ্ছে পুতুল, কার কাছে কই মনের কথা সহ একাধিক ধারাবাহিকে কাজ করেছেন পরিচালক অর্ক গঙ্গোপাধ্যায়। তবে তিনি নিজেও একজন স্ক্রিপ্ট রাইটার।
স্নেহাশীষ চক্রবর্তীঃ
ব্লুজ প্রোডাকশনের কর্ণধার এবং পরিচালক স্নেহাশীষ চক্রবর্তী। তার লেখা গল্প গুলো আর পাঁচটা বাংলা সিরিয়ালের থেকে একটু অন্যরকম। আঁচল, খোকাবাবু, টাপুর টুপুর, ভজ গোবিন্দ, মাধবীলতা, খুকুমণি হোম ডেলিভারি থেকে শুরু করে বর্তমানে জগদ্ধাত্রী, গীতা এলএলবি, যোগমায়া, তারই লেখনী থেকে বেরিয়ে এসেছে একের পর এক জনপ্রিয় ধারাবাহিকের গল্প।
সুশান্ত দাসঃ
লেখক সুশান্ত দাস কে চেনে না এমন বাংলা সিরিয়ালপ্রেমী মানুষ খুব কমই আছেন। এক সময় স্টার জলসার মেগা হিট ‘কে আপন কে পর’ ধারাবাহিকের গল্পটি তারই লেখা। কৃষ্ণকলি, জয়ী, তিতলি, আলতা ফড়িং, বাংলা মিডিয়াম এর মত জনপ্রিয় সিরিয়ালের গল্প লিখেছেন তিনি। বর্তমানে তোমাদের রাণী সিরিয়ালের গল্প লিখছেন তিনি।
সাহানা দত্তঃ
ছোটো পর্দার বেশ নামকরা একজন লেখিকা হলেন সাহানা দত্ত। গোয়েন্দা গিন্নি, ভুতু, আমলকি, জয়কালী কলকাত্তাওয়ালী’ র মত অসাধারণ ধারাবাহিকের গল্প লিখেছেন তিনি। এছাড়াও বেশ কিছু সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের গল্পও লিখছেন তিনি।