মায়ানমার উত্তরাঞ্চলে জেড খনিতে ধস নেমে প্রায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন। সুত্র অনুযায়ী খবর প্রায় ১৬২ জনের মৃত্যু হয়েছে। ৪৫ জনকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে।
শনিবার উত্তর মায়ানমারে ধসের ফলে নিহত কয়েকজন জেড খনি শ্রমিককে সমাহিত করা হয়েছে। স্থানীয় এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, শুক্রবার ৭৭ জনকে দেশের সবচেয়ে খারাপ খনির দুর্ঘটনার মধ্যে একটি গণ সমাধিতে সমাহিত করা হয়েছিল।
আরো পড়ুন। বন্যা-ভূমিধসের কবলে দক্ষিণ জাপান, মৃত্যুর আশঙ্কা ২০
মায়ানমার তথ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা থার লিং মাউং জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার ভোরে কোচিন রাজ্যের জেড পাথর বিশিষ্ট হপাকান্ত এলাকায় ধসের ঘটনা ঘটে। অনেকেই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
জেড পাথর বা রত্নপাথরের সবচেয়ে বড় উৎস হল মায়ানমার। সেখানের খনিতে উদ্ধার বেশিরবাগ জেড পাথরই চিনে রপ্তানি করা হয়। কিন্তু এই খনিগুলতে প্রায় দুর্ঘটনা ঘটে।
আরো পড়ুন। চিনের জিনজিয়াং থেকে আমদানি নিয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সতর্কতা
অত্যাধিক বৃষ্টির সময় শ্রমিকরা পাথর সংগ্রহ করার সময় এই ধস নামে এবং বহু শ্রমিক তার তলায় চাপা পরে যায়।
তিনি বলেছেন, অনেক শ্রমিক অন্য এলাকা থেকে এসে কাজ করতেন তার ফলে বেশিরভাগ লাশ শনাক্ত করা যায়নি। তারা খনির পাশে তাবু টানিয়ে থাকতেন। মায়ানমারে মে থেকে অক্টোবর পর্যন্ত বর্ষার মৌসুম চলে। এই সময়ে হপাকান্তের সব খনিগুলিতে কাজ বন্ধ রাখার কথা থাকে যদিও বাস্তবে তা মানা হয় না। ফলে সাম্প্রতিক বছরগুলোতে খনিগুলোতে বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আরো পড়ুন। করোনাভাইরাকে ঠেকাতে উপসাগরীয় স্থানগুলিতে চেকপয়েন্ট বসাতে উদ্যোগী মেক্সিকো
২০১৫ সালের ধসে প্রায় ১০০ জন মারা গিয়েছিল যার ফলে শিল্পকে নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানানো হয়েছিল। ২০১৯ সালে আরও ৫০ জন মারা গিয়েছিলেন। বৃহস্পতিবারের ভূমিধসের স্মৃতি সবচেয়ে খারাপ ছিল।