স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’ ধারাবাহিককে এবার বাংলার টপার স্থানে ধরে রাখতে গল্পে আনা হচ্ছে এক নতুন মোড়। এই ধারাবাহিকে আসন্ন ট্র্যাকগুলি হতে চলেছে দুর্ধর্ষ পর্ব। যা দর্শকদের আরও বেশি করে বিনোদন দেবে।
যারা ধারাবাহিকটি দেখেন তারা জানেন, রুপা জেনে গিয়েছে তার বাবা সূর্য। কিন্তু তার বাবা তাকে মানতে চায় না। এই নিস্পাপ ফুলের মতো মেয়েটির মনে এখন কষ্ট চাপা। রাতে শুয়ে শুয়ে কাঁদছে কিন্তু দীপার সামনে ভীষণ খুশি থাকার অভিনয় করছে। কথায় বলে মায়ের মন সব বোঝে। তাই দীপা আন্দাজ করছে রুপা কিছু টের পেয়েছে।
এদিকে রুপাকে চোখে হারাচ্ছে সূর্য। সূর্য ভাবচ্ছে আমি রুপাকে সোনার মতো নিজের মেয়ের মতো বড় করতে চাই। আমি সোনা আর রুপার সঙ্গে আবার নতুন জীবন শুরু করতে চায়। এই কাজটা যে তার দ্বারা হচ্ছে না। কারন সে বড় দ্বিধায়। একা ঘরে কাঁদতে কাঁদতে নিজের মেডিক্যাল রিপোর্ট খুঁজতে যায়। কিন্তু আচমকাই তার হাতে আসে কবিরের গল্পের বই। আবার আগের ঘটনা মনে পড়ে যায় এবং কবিরের বই পুড়িয়ে ফেলতে যায়। পায়ে আঘাত থাকায় পড়ে যায় সে। সোনা বাবাকে কাঁদতে দেখে জড়িয়ে ধরে সামলায়। কিছুতেই নিজের বাবাকে কষ্টে দেখতে পারবে না সে। তাই সোনা প্ল্যান করে যদি ফুল মা আর বাবার বিয়ে দেওয়া যায় তাহলে আমরা চারজন একসাথে থাকতে পারব।
পরের দিন স্কুলে গিয়ে সোনা রুপা-কে বাবা-মায়ের বিয়ের প্ল্যান জানায় কিন্তু রুপার সূর্যের কথা মনে পড়ে সূর্য বলেছিল সে রুপাকে মানতে চায় না। রুপা সোনার প্ল্যানে রাজী হয় না। অন্যদিকে সূর্য রুপাকে দেখার জন্য ছটফট করে।
পরের দিন লাবণ্য এবং জয়ের সঙ্গে রুপার জন্য খেলনা কিনে দীপার বাড়িতে যায়। রুপা সূর্যকে দেখে বাবা বলে জড়িয়ে ধরে। দীপা আঁচ করে রুপা সূর্যের আসল পরিচয় জেনে গেছে। সোনা বলে, “এটা তো আমার বাবা”। তখন রুপা বলে “ও সরি” বলে পাশের ঘরে চলে যায় রুপা। এদিকে দীপা সূর্যকে জানায়, “সে কি রুপাকে ভিক্ষা দিতে এসেছে”? ‘ভিক্ষা’ শব্দটি শুনে সূর্য কষ্ট পায় সূর্য আর দীপার সঙ্গে তর্ক শুরু করে কেন সে একথা মুখে আনল?
অন্যদিকে সোনা বোঝে রুপা কষ্টে আছে। পাশের ঘরে গিয়ে সোনা রুপাকে বোঝায় সে তার সত্যি বোন হতে চায়। সোনার কথায় রাজী হয়ে যায় রুপা। তারা বাবা-মায়ের বিয়ের প্ল্যান করে। তাহলে রুপা’র কষ্টে কি মেয়েদের কথায় অবশেষে বিয়ের পিঁড়িতে বসবে সূর্য? সেটাই দেখার অপেক্ষায় দর্শকেরা।
Source: eisamay . com