‘পারিশ্রমিক মুখে আনা যায় না…ধারাবাহিক ছাড়ার সিদ্ধান্ত পর্যন্ত’, কোন কারণে এত বড় ত্যাগ স্বীকার করলেন শাশ্বত?

শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়

২০১৩ সালে কমলেশ্বর মুখার্জি পরিচালিত ‘মেঘে ঢাকা তারা’ ছবিটি আজও বাংলা সিনেমাপ্রেমীদের কাছে বিশেষ জায়গা করে নিয়েছে। ছবিতে একজন বিপ্লবী চলচ্চিত্রকারের জীবন যন্ত্রণা এবং শিল্পীসত্ত্বার নির্যাস তুলে ধরে ছিলেন অভিনেতা শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়।

শ্রী ভেঙ্কটেশ ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত এই ছবি পর্দায় কালো-সাদা রঙের হলেও, শেষ দৃশ্যটি রঙিন। ছবির কেন্দ্রীয় চরিত্র ‘নীলকণ্ঠ বাগচী’ আর সেই ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শাশ্বত। বিপরীতে দুর্গার চরিত্রে ছিলেন অনন্যা চ্যাটার্জি।

ছবি প্রসঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শাশ্বত জানান, ‘যখন ‘মেঘে ঢাকা তারা’র অফার এল, তখন বুঝেছিলাম এটা একটা ভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা হতে চলেছে। সেই সময়ে মহুয়ার (স্ত্রী) সঙ্গেও কথা বলতে কষ্ট হতো, মনে হতো আমি আর আমি নেই…আমি নীলকণ্ঠ হয়ে উঠেছি।’

সেই সময় টিভিতে শাশ্বতর জনপ্রিয় একটি মেগা সিরিয়াল চলছিল। একই প্রোডাকশনের হওয়া সত্বেও তিনি সেই ধারাবাহিকটি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

শাশ্বত বলেন, ‘সেই সময় এই ছবির পারিশ্রমিক এতটাই কম ছিল, আজ মুখে আনাও যায় না। ধারাবাহিকের পারিশ্রমিকের একভাগেরও কম! তবু আমি ছেড়ে দিয়েছিলাম, কারণ আমি চাইনি দুই নৌকায় পা রেখে কোনোটাকেই ঠিকঠাক দিতে। নীলকণ্ঠ চরিত্রটা আমার কাছে একটা দায়িত্ব ছিল, আমি সেটাকে অবিস্মরণীয় করে রাখতে চেয়েছিলাম। এমনিতেই অভিনয় জগত অনিশ্চয়তায় ভরা, তার মধ্যে একাধিক কাজে জড়িয়ে পড়লে কোনটাতেই সফলতা পাওয়া যাবে না।’