সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে জিতু-দিতিপ্রিয়ার গন্ডগোল নিয়ে হই হই কান্ড। এমনকি দুজনকে নিয়ে পরিচালক-প্রযোজকের মিটিং হলেও সমাধান মেলেনি কোন। চিরদিনই তুমি যে আমার ছাড়ছেন কি জিতু? এই নিয়েও এখনও কোন বার্তা দেননি জিতু।
জিতু-দিতিপ্রিয়ার ঝামেলার জেরে জিতুর ধারাবাহিক ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনেকেই দোষারোপ করছে জিতুকে। এরআগেও নাকি ‘এনওসি’ দিয়ে ‘মিলন তিথি’ ধারাবাহিক ছেড়ে দিয়েছিলেন জিতু? নেপথ্যে কারণ অভিনেত্রী উষষীর সঙ্গে মনোমালিন্য এবং পর্দায় দ্বিতীয় নায়কের প্রাধান্য?
জিতুর বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতেই জবাব দিয়েছেন ‘মিলন তিথি’ ধারাবাহিকের প্রযোজক স্নিগ্ধা বসু। তিনি সাফ বলেছেন, ‘জীতু এমন কিছু করেনি, যার জেরে সেটে কোনও অশান্তি তৈরি হয়েছে। এটা ঠিক, ও একটু বেশি খুঁতখুঁতে।’
‘দ্বিতীয় নায়কের প্রাধান্যের কারণে নয়, ওর চরিত্র গল্পের কারণে ইতিবাচক থেকে নেতিবাচক হয়ে উঠছিল। এতে জীতু আপত্তি জানিয়েছিলেন। “ও শুরু থেকে বলেছিল, নেতিবাচক চরিত্র করবে না। তাই ‘এনওসি’ দিয়ে বেরিয়ে যায়।’
জিতুর প্রসঙ্গে স্নিগ্ধার দাবি, ‘জীতু যথেষ্ট সংযত বলেই আমাদের আর একটি ধারাবাহিক ‘অর্ধ্বাঙ্গিনী’রও নায়ক ছিল ও। বিপরীতে নবনীতা দাস। ওর প্রাক্তন স্ত্রী। আমাদের ধারাবাহিক করতে করতেই তো ওদের বিয়ে।’
‘মিলন তিথি’র পরিচালক সৌমেন জানিয়েছেন, ‘জীতু-দিতিপ্রিয়ার রসায়ন ওই ধারাবাহিকের প্রাণভোমরা। ওঁদের অভিনয় দেখবেন বলে দর্শক মুখিয়ে থাকেন। জীতু চলে গেলে সেই আগ্রহ কিছুটা হলেও কমবে।’
‘জীতুর বরাবর প্রশ্ন বেশি। নিজের চরিত্র নিয়ে কৌতূহল বেশি। প্রশ্নে প্রশ্নে জেরবার করে ফেলে পরিচালককে। এটা ওর ভাল গুণ। তার বাইরে আর কারও সঙ্গে এমন কিছু অভিনেতা করেননি, যা পরিচালকের চোখে দৃষ্টিকটু।’

