বাংলা ধারাবাহিকে এমন পার্শ্বচরিত্র রয়েছে যাদের অভিনয় দর্শকের মনে গেঁথে গেলেও সেভাবে তাদের ব্যক্তিগত জীবন লাইম লাইটে উঠে আসে না। তাদের মধ্যে একজন হলেন অভিনেতা অনিমেষ ভাদুড়ি। বাংলা টেলিভিশনের এক জনপ্রিয় মুখ। এর আগে পর্দায় একাধিক সিরিয়ালে দাদা, বাবা, কাকার চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা।
চার বছরের একটি ছোট মেয়ে আছে অভিনেতার। মেয়ের নাম আর্যা। এই প্রথমবার মেয়েকে নিয়ে মুখ খুললেন অনিমেষ ও স্ত্রী সুদক্ষিণা ভাদুড়ি। এই সময়কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অভিনেতা জানালেন, ‘২০২০ সালে কোভিডের দাপটের মাঝেই পরিবারে আসে নতুন সদস্য। ওই সময়টা যে কীসের মধ্যে দিয়ে আমরা গিয়েছি, সেটা ভাষায় প্রকাশ করতে পারবো না। ২০২০ সালের অক্টোবারে জন্ম কন্যার। শহরের যে হাসপাতালে ওর জন্মের সব ব্যবস্থা করা হয়েছিল, সেই জায়গায় তখন প্রচুর করোনা পেশেন্ট। খুব ভয়ের মধ্যেই সবটা হয়েছিল। তবে সবকিছুই উপরওয়ালার ইচ্ছে যে আমাদের সন্তান সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে এসেছিল।’
শুটিংয়ে ব্যস্ত থাকেন বাবা। তাই মায়ের সঙ্গেই বেশিরভাগ সময় কাটে আর্যার। অন্যদিকে, সুদক্ষিণার সঙ্গে আবার অভিনয় জগতের কোনও সম্পর্কই নেই। একদম ছোট থেকেই ঠাকুমার সঙ্গে বসেই বাবার অভিনয় দেখেছে আর্যা। তাই বাবাকে যে টিভিতে দেখায় এই বিষয়ের সঙ্গে অভ্যস্ত সে। তবে কি মেয়েও অভিনেত্রী হোক, এমনটাই চান তারা?
সুদক্ষিণার কথায়, ‘বিষয়টা আসলে আমি বা আমরা কী চাই, তার থেকেও বড় হলো ও কী করতে চাইবে ভবিষ্যতে। ওর যেটা কপালে আছে সেটাই হবে। তবে আমরা তো এই প্রফেশনের অনিশ্চয়তাটা খুব কাছ থেকে দেখছি। যদিও ভবিষ্যৎ নির্ধারণের ক্ষমতা আমাদের কারও হাতে নেই। তাই যদি ও ভালোবেসে এই পেশাকেই বেছে নিতে চায়, আমরা সবসময় পাশে থাকব।’
টাকা রোজগারের পিছনে ছুটতে গিয়ে মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব কমে যাচ্ছে। তাই বড়দের সম্মান করা এবং ভুল, ঠিক নির্ধারণের ক্ষমতা থাকা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন বলে মনে করেন সুদক্ষিণা। অনিমেষও বলেন, ‘আমার পেশায় আসা বা না আসার থেকেও ওকে বুঝতে হবে পড়াশোনার কোনও বিকল্প নেই। তাই জীবনের এই লক্ষ্য যেন স্থির থাকে এতটুকুই চাওয়া।’

