২২ জুলাই ঘুম ভাঙতেই মন খারাপ অভিনেত্রী রত্না ঘোষালের। ইন্ডাস্ট্রিতে একে অপরের প্রিয় বান্ধবী ছিলেন মহুয়া রায়চৌধুরী ও রত্না ঘোষাল। ৪০ বছর হয়ে গেল, মহুয়া রায়চৌধুরী আর নেই। আজ ২২ জুলাই বান্ধবীর প্রয়ান দিবসে বান্ধবীকে ঘিরে নানা কথা শেয়ার করলেন রত্না দেবী।
রত্না ঘোষালের কথায়, ‘মাত্র ২৬ বছরে এক প্রতিভাময় জীবন শেষ। কী করে ফুরিয়ে গেল একটি তরতাজা প্রাণ! ভাবলেই যেন দম আটকে আসে। ওকে নিয়ে প্রচুর গুঞ্জন, অনেক রহস্য। জন্ম থেকে মৃত্যু মৌ দুর্ভাগা। নাম, যশ, খ্যাতি, অর্থ- কী পায়নি?’
‘তিলক চক্রবর্তীর সঙ্গে সুখে সংসার করছিল। একমাত্র ছেলে গোলার জন্ম হল। ভীষণ প্রাণচঞ্চল একটা মেয়ে। কোথাও কারও বিপদ শুনলেই আমায় ডেকে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ত। তখন আমাদের ইন্ডাস্ট্রি এমনই ছিল। অথচ ওর নিজের কী করুণ পরিণতি!’
মৌ এখনও আমার স্বপ্নে আসে। স্বপ্নেই আমরা আগের মতো একসঙ্গে বসে খাই, আড্ডা দিই, হইহই করি। কোনও দিন দেখি, মৌ আমায় ডাকছে। যেন বলছে, ‘অনেক দিন তো হল। এ বার আয়…!’
মৌয়ের কথা মনে পড়লেই ওর খুনসুটি, ওর দুষ্টুমি, ওর অভিনয়, ওর রাগ, অভিমান, জেদ চোখের সামনে ভিড় করে।
শুনে খারাপ লাগে, মৌ এর ছেলে নাকি মায়ের পরিচয় কোথাও দিতে চায় না! কেন চায় না? জানি না। মৌ চলে যাওয়ার পর তিলক, গোলার সঙ্গে যোগাযোগ কমে গিয়েছিল। মৌ কিন্তু ছেলে অন্তপ্রাণ ছিল।
২২ জুলাইয়ের সকাল ঈশ্বরের কাছে মৌয়ের জন্য আমার প্রার্থনার দিন। প্রতি বছর ভগবানকে বলি, সারা জীবন বড্ড জ্বলেছে। ওকে শান্তিতে রেখো।