বাঙালির মহানায়ক একজনই, তিনি হলেন উত্তম কুমার। নামের সাথে ‘মহানায়ক’ পদক দাগিয়ে দিলেও তিনি উত্তম কুমার হতে পারবেন না। মৃত্যুর ৪৫ বছর পরেও যিনি বাঙালির কাছে অমর।
তার ক্যারিয়ার জীবনে সব ঘটনা মানুষের অজানা নয়, তবে আজ আমরা কথা বলবো মহানায়কের ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে। উত্তম কুমারের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়ে টানা হেঁচড়া আজও হয়। উত্তম কুমার বিবাহিত পুরুষ ছিলেন, তবে তার নামের সঙ্গে আজও জড়ানো হয় সুচিত্রা দেবী এবং সুপ্রিয়া দেবীর নাম।
উত্তম কুমারের পরিবার আজও তাদের সম্মান একই ভাবে বজায় রেখেছেন। মহানায়কের এক ছেলে গৌতম চট্টোপাধ্যায় এবং রয়েছে তার দুই স্ত্রী।
গৌতম চট্টোপাধ্যায় একজন অভিনেতা, যিনি প্রথমে বিয়ে করেছিলেন সুমনা চট্টোপাধ্যায়কে। যাকে উত্তম কুমার নিজেই পুত্রব্ধু করে আনেন। তাদের সন্তান আজ বাংলা টেলিভিশনের চেনা মুখ অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায়।
পরবর্তী সময়ে গৌতম চট্টোপাধ্যায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন মহুয়া চট্টোপাধ্যায়কে। দুই স্ত্রীকে কখনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। একই ছাদের নীচেই তারা সুখী পরিবার সামলেছেন। যার ফলে উত্তর কুমারের পরিবারের সম্মানে কখনোই কলঙ্কিত হয়নি।
অভিনেতা গৌরব চট্টোপাধ্যায় দুই মাকেই স্নেহ ও শ্রদ্ধায করেন। এক সাক্ষাৎকারে মহুয়া জানিয়েছিলেন, তিনি বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে একবার সিনেমা দেখতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন। সেদিন মহানায়ক হাসি মুখে তাঁকে বলেছিলেন, ‘কখনও যদি সিনেমা দেখতে ইচ্ছে হয়, আমাকে বলবি, আমি নিজেই টিকিট কেটে দেব।’ দুই পুত্রবধূ জানান, বাড়িতে একেবারেই সাদামাটা ভাবে পরিবারের মানুষের সাথে সময় কাটাতেন তিনি। উত্তম কুমার কখনোই অকারণে রাগারাগি করতেন না। তিনি ডিসিপ্লিনড মানুষ ছিল, অন্যায় দেখলে প্রতিবাদ জানাতেন। মহানায়কের ৪৫ তম মৃত্যুবার্ষিকী সকলে একত্রে মিলে স্মৃতিচারণ করেছেন।
সূত্রঃ https://tollygossip . com