অসুস্থ পরিচালক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কার জয়ী উৎপলেন্দু চক্রবর্তী। ২৩ দিন পর হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরেছেন তিনি। শোনা যায়, ৫ ই এপ্রিল বাড়িতে পড়ে গিয়ে কোমরে এবং ডান পায়ে হাড় ভেঙে যায়। বুকের সমস্যাও ছিল।
অবশেষে ৯ ই এপ্রিল এসএসকেএম হাসপাতাল ভর্তি করা হয়। ৩ রা মে হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরে এসেছেন। তবে আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছেন তিনি। ৭৬ বছর বয়সে হাঁটাচলা ক্ষমতা চলে গেছে, শরীর শুকিয়ে কাঠ।
অনেকের মনেই প্রশ্ন জেগেছে, অসুস্থ সত্ত্বেও পরিবার ও মেয়েরা পাশে নেই কেন? এই প্রসঙ্গ তার সহকারী অর্ঘ্য মুখোপাধ্যায় হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে জানান, ‘মেয়েদের সঙ্গে কোনও যোগাযোগ নেই তার, সুতরাং তাদের খবর দেওয়া অর্থহীন।’
যদিও বাবার অসুস্থতার খবর মিডিয়ার মাধ্যমেই জানতে পেরেছেন মেয়ে ঋতাভরী। বাবার অসুস্থতায় বাবা পাশে নেই কেন প্রশ্ন তোলা হলে অভিনেত্রী স্পষ্ট জানায়, ‘গত ৩০ বছরে তো উনি আমাদের কোনও খোঁজ নেননি। সবাই আমাদের পিছনে এরকমভাবে পড়েছে কেন জানি না। ওঁর তো আরেকটা বউ-বাচ্চা আছে। তাদের পিছনে পড়ুক। ওঁর তো একটা বিয়ে নয়। দুটো বিয়ে। ওঁর আগের স্ত্রী ইন্দ্রাণী। ছেলে গোগোল। তাঁদের পিছনে পড়ুক না লোক। ৩০ বছরে তো লোকটার মুখই দেখলাম না।’
ঋতাভরী আরও জানান, ‘২৭ বছর উনি আমার, দিদির, মায়ের কোন দায়িত্বই নেয়নি। লোকটাকে চোখেই দেখিনি। শুধু কথা শুনেছি। আমার মা আর আমার দিদিকে কী কী সহ্য করতে হয়েছে সেগুলো শুনেছি। আর হালকা কিছু স্মৃতি আছে চার বছর বয়সের। তবে এখন আর কোনও অশ্লীল কথা বলতে চাই না। উনি অসুস্থ। ওঁর নামে খারাপ কিছু বলা, ইমেজ নিয়ে টানাটানি, ঝগড়া কিছুই চাই না আমি আর।’
শৈশবেই আলাদা হতে দেখেছেন তার বাবা-মাকে। ২০০০ সালে শতরূপা সান্যাল ও উৎপলেন্দু চক্রবর্তীর ডিভোর্স হয়। ঋতাভরীর কথায়, মায়ের কষ্টের কথা ভুলে উৎপলেন্দু চক্রবর্তীকে তিনি কোনদিনও বাবা বলে কাছে টানতে পারবেন না, তা স্পষ্টই জানিয়েছেন অভিনেত্রী।