অনেক স্বপ্ন নিয়ে কলকাতায় এসেছিলেন ছোটপর্দার খ্যাতনামা অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। জি-বাংলার ‘ত্রিনয়নী’ ধারাবাহিকের হাত ধরেই অভিনয় জগতে হাতেখড়ি হয় তার। আর প্রথম ধারাবাহিকই ছিল তার কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট। এর পর ‘দেশের মাটি’, ‘রাঙা বউ’ ধারাবাহিকে কাজ করে নিজের অভিনয় দিয়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। এক বছর আগেই পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার এর সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছেন পর্দার ‘রাঙা বউ’।
অভিনয় জগতে নিজের জায়গা তৈরি করতে নানা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে তাকে। অবশেষে নিজের দক্ষতা দিয়েই খ্যাতি অর্জন করেন শ্রুতি। ত্রিনয়নী ধারাবাহিক থেকে খ্যাতি অর্জন করলেও তার সঠিক পারিশ্রমিক পাননি অভিনেত্রী। যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও নিজের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন অভিনেত্রী।
বাংলা জোশ টক চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে একসময় শ্রুতিকে বলতে শোনা যায়, ‘মাত্র তিন বছর হয়েছে এই ইন্ডাস্ট্রিতে এসেছি। অনেক ক্ষেত্রেই আমাকে শুনতে হয়েছে যে আমি আমার বয়ফ্রেন্ডকে ব্যবহার করে কাজ পেয়েছি। তবে সেই মানুষটা কিন্তু কাটোয়া থেকে আমায় টালিগঞ্জে নিয়ে আসে নি। এটা সবাইকে আগে জানতে হবে। প্রথম সিরিয়াল ত্রিনয়নী আমাকে প্রচুর খ্যাতি দিয়েছে টাকা দেয়নি। যেটা আমি ডিসার্ভ করি সেটা আমি পাই নি। তবে প্রথম কাজ হিসাবে একটা বাবার দুহাজার টাকা ইনকাম হিসাবে তখন সেই অ্যামাউন্ট টা যেটা আমাকে অফার দিয়েছেলেন, সেখানে আমি মাত্র পাঁচ হাজার টাকা বাড়িয়ে ছিলাম। তখন ভেবেছিলাম এই টুকু বাড়ানো যায় কি? পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারলাম যে এটা একদমই নুন্যতম। বরং আমিই বোকা ছিলাম যে এত কম এক্সপেকটেশন রেখেছিলাম। তবে এই নিয়ে আমার কোন আক্ষেপ নেই, কোন অভিযোগও নেই। বরং আমার কাছে ওই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে ওই অর্থটা অনেকটা যে কারণে আমি কলকাতায় বারো হাজার টাকা ভাড়া দিয়ে আমার বাবা-মাকে রাখতে পেরেছি।’
View this post on Instagram