‘এমনও দিন গিয়েছে যে ইলেকট্রিক বিল দিতে পারিনি’, সিরিয়াল ছাড়া নিয়ে মুখ খুললেন তিথি বসু

তিথি বসু

‘মা’ সিরিয়ালের ঝিলিককে মনে পড়ে? একটা সময় বাংলা বিনোদন জগতের মাইলফলক ছিল ‘মা’ ধারাবাহিকটি। ধারাবাহিকের ছোট্ট ঝিলিক, ওরফে তিথিকে আজও ভোলেননি দর্শক। এই ধারাবাহিকের হাত ধরেই অভিনয় জগতে পা রেখেছিলেন অভিনেত্রী তিথি বসু।

তবে সকলের প্রিয় সেই ছোট্ট ঝিলিক কলেজের গণ্ডিও পেরিয়ে আজ অনেকটাই বড়। ‘মা’ ধারাবাহিক শেষ হওয়ার পর থেকে তাঁকে আর ছোট পর্দায় দেখেননি দর্শক। যথেষ্ট যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও আজও অভিনেত্রী ক্যমেরার আড়ালে।

এই প্রসঙ্গেই, জীবনের সংঘর্ষের কথা নিজেই ভাগ করে নিলেন জনপ্রিয় এই টেলি অভিনেত্রী। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিথি জানান, “আমার আইসিএসই পরীক্ষার ঠিক আগেই বাবা মায়ের মধ্যে ডিভোর্স হয়। আমি তখন ভেঙে পড়েছিলাম। কী করব বুঝতে পারছিলাম না। সে এক বিভীষিকাময় পরিস্থিতি।”

তিনি আরও বলেন, “এই পরিস্থিতিতেই আমি জীবনের প্রথম বোর্ড পরীক্ষাটা দিয়েছিলাম। দেখতাম বন্ধুদের বাবা-মা আসতেন। আমি একা একা হেঁটে স্কুলে যেতাম। বাড়ির পাশেই স্কুল ছিল। একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে পড়াশোনা করতাম। সেখানে তিন মাস ছাড়া বেতন দেওয়াটাও সেই সময় আমার জন্য অত্যন্ত কষ্টের ছিল।”

অভিনেত্রীর কথায়, “এমনও দিন গিয়েছে যে ইলেকট্রিক বিল দিতে পারিনি বলে আমি এবং মা অন্ধকার ঘরে বসে থেকেছি। বাবা মায়ের এই বিচ্ছেদ পর্ব চলাকালীন অনেকের কাছেই আমি হাসির খোরাক হয়েছিলাম। নিজের চোখে রক্তের সম্পর্ককে শত্রু হতে দেখেছি। যাঁরা রক্তের সম্পর্ক নয় তাঁদের আপন হতে দেখেছি। কেউ ছিল না পাশে। কোনও আপনজনকে পাশে পায়নি। মা এবং আমার মামার বাড়ির সদস্যরা একমাত্র আমার জন্য লড়ে গিয়েছিলেন।”

কঠিন পরিস্থিতেও ভেঙে পড়েননি অভিনেত্রী। অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত না থাকলেও ক্যামেরার সামনে একজন ব্লগার হিসাবে কাজ করে চলেছেন তিনি। সিরিয়ালে ধরা বাধা নির্দিষ্ট কাজের তুলনায় নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলে ব্লগার হিসাবে তার পরিচিতিটাই তাকে সবেচেয়ে বেশি আনন্দ দেয়। বর্তমানে নিজস্ব কনটেন্ট ভিডিও তৈরির দিকেই মন দিয়েছেন তিনি। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাতেই বেশ জনপ্রিয় অভিনেত্রী।