এই মুহূর্তে বাংলা বিনোদন জগতের চেনা মুখ নবনীতা মালাকার। ‘নিম ফুলের মধু’ ধারাবাহিকে তিন্নি হয়েই দর্শকদের মন জয় করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। যদিও বর্তমানে তাকে আর ধারাবাহিকে দেখা যাচ্ছে না। তবে অভিনয় জগতে আসার রাস্তাটা মোটেই সহজ ছিল না তার কাছে। নিজেকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করার সংগ্রামটা ছিল বেশ কঠিন।
নিম ফুলের মধু-র পাশাপাশি বর্তমানে সান বাংলার রূপসাগরে মনের মানুষ ধারাবাহিকেও দেখা যাচ্ছে নবনীতাকে। এর আগেও ‘পুণ্যি পুকুর’, ‘মনসা’, ‘মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্য়’, ‘মঙ্গলচণ্ডী’ সহ বহু ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী। শুধু তাই নয়, অভিনয়ের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়াতেও ব্যাপক জনপ্রিয় নবনীতা।
কিভাবে শুরু হল তার এই পথ চলা? এই প্রসঙ্গে নিজের সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী। জলপাইগুড়ির নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে তিনি। সাদামাটা জীবন যাপন করেই ছোট থেকে বড় হয়েছেন অভিনেত্রী। ছোট থেকেই ইচ্ছা ছিল ড্যান্সার হওয়ার। তবে জলপাইগুড়ি থেকে কলকাতায় এসে অভিনয় করবেন তা কোনদিন ভাবতেই পারেননি। পারিপার্শ্বিক প্রতিকূলতা থাকা সত্ত্বেও, শুরু থেকেই তাকে সাপোর্ট করেছেন তার বাবা-মা। মেয়ের স্বপ্নপূরণের সফরে কোনওদিন বাধা আসতে দেননি তারা।
নবনীতা জানান, “অনেককিছু অসম্ভব ছিল। আমাদের এখানে ছোট জামা পড়া যেত না। কিন্তু আমার বাবা আমায় জিন্স কিনে দেন। অমর ঠাকুরদাদা আমায় ভীষণ ভালবাসতেন কিন্তু আমি সাইকেল চালাবো এগুলো ঠিক পছন্দ ছিল না। আমার বাবা কিন্তু আমায় সেই স্বাধীনতা দিয়েছিলেন।”
ছোটবেলায় অনেক আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও কোন অভাব বুঝতে পারেনি সে। বর্তমানে অবশ্য সমস্ত প্রতিকূলতাকে কাটিয়ে নিজের পরিশ্রমের টাকায় বাবা-মা’র মাথায় ছাদ গড়ে দিতে চান তিন্নি ওরফে নবনীতা।