‘যারা আমার চরিত্র কেড়ে নিয়েছেন তারা কি আমার ভাগ্য…’, বললেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী

লিলি চক্রবর্তী

৮৩ পেরিয়ে ৮৪ তে পা, দীর্ঘ অভিনয় জীবনের লম্বা সফর পার করেছেন বর্ষীয়ান অভিনেত্রী লিলি চক্রবর্তী। সম্প্রতি আনন্দবাজার ডট কমের সাথে খোলামেলা আড্ডায় লিলি চক্রবর্তী। ইন্ডাস্ট্রিতে এত বছরের অভিজ্ঞতা নিয়ে নানা কথা শেয়ার করলেন অভিনেত্রী।

অভিনয়ে আসার জন্য কিছু ত্যাগ করতে হয়েছে অভিনেত্রীকে? লিলি চক্রবর্তীর কথায়, আমায় কিচ্ছু স্যাক্রিফাইস করতে হয়নি। ঘরে বসেই এই সমস্ত পরিচালকদের সঙ্গে কাজের সুযোগ পেয়েছি। কারও কাছে গিয়ে বলতে হয়নি, আমায় কাজ দাও। আমি করব। জানেন, আমার অনেক রোল অনেকে কেড়ে নিতে চেয়েছেন!’

‘যাঁরা নিয়েছেন, নিয়েছেন। তাঁরা কি আমার ভাগ্য কেড়ে নিতে পেরেছেন? মুম্বইয়ে বসে সত্যজিৎ রায়ের ছবিতে অভিনয়ের ডাক পেয়েছি। ‘ফুলেশ্বরী’তে অভিনয়ের জন্য মুম্বই থেকে ডেকে নিয়ে এসেছেন তরুণ মজুমদার। একদম নতুন আমি তখন। অজয় কর, তপনবাবু ডেকে কাজ দিয়েছেন।’

ছোটবেলা থেকেই অভিনয় ভালবাসতাম। মধ্যপ্রদেশে বড় হয়েছি। ওখানে বাঙালিদের উৎসবে কয়েক ঘর বাঙালি মিলে নাটক করতাম, অনুষ্ঠান করতাম। আমার মা পরিচালনা করতেন। হয়তো তখনই অভিনয়ের প্রতি ভালবাসাটা তৈরি হয়। আমরা অনেক ভাই-বোন, কষ্টের সংসার। বাবা ঢাকা থেকে কলকাতায় চলে এসেছিলেন।

আমার মেজদি নাটক করত। একদিন মেজদি আমাকে মহড়ায় নিয়ে গিয়েছিল। সেখানে পরিচালক আমায় প্রথম একটি দৃশ্যে ছোট্ট একটি পার্ট দিয়েছিলেন। সেখান থেকে অন্য অফিস ক্লাবের নাটকে কাজ পাই। সেখান থেকেই পরিচালক কনক মুখোপাধ্যায়ের ভাই ‘ভানু পেল লটারি’তে সুযোগ দিলেন! ৬৬ বছর আগে প্রথম উপার্জন ৫০ টাকা। বাবার হাতে গর্বের সঙ্গে তুলে দিয়েছিলাম! সেই শুরু। ‘সূর্যস্নান’ ছবিতে শম্ভু মিত্রের বিপরীতে দ্বিতীয় নায়িকা হয়েছিলাম।