এই ছোট্ট খুদেকে চিনতে পারছেন? জানেন কি বাচ্চা ছেলেটি চলচ্চিত্র জগতে সাফল্যের এক ভিন্ন গল্প লিখেছে। খুব কম মানুষই মনে রাখেন সেই মানুষদের, যারা পর্দার আড়ালে বসে গল্প, সংলাপ ও চরিত্র নির্মাণ করেছেন। তাদের মধ্যেই একজন হলেন তিনি। ইনি হলেন চলচ্চিত্র জগতের একজন বিশিষ্ট চিত্রনাট্যকার এবং গীতিকার।
এবার আন্দাজ করতে পারছেন কি কে ইনি? কেরিয়ারের দীর্ঘ যাত্রায় অসংখ্য সিনেমা উপহার দিয়েছেন। তিনি আর কেউ নন, বলিউড ইন্ডাস্ট্রির উজ্জ্বল নক্ষত্র জাভেদ আখতার। কবি জান নিসার আখতারের পুত্র হিসেবে, সাহিত্য ও কবিতার পরিবেশেই বড় হন জাভেদ, লেখালেখি ছিল স্বপ্ন।
মাত্র ১৯ বছর বয়সে এক স্বপ্ন নিয়ে মুম্বইয়ে পা রেখেছিলেন কিংবদন্তি পরিচালক গুরু দত্তের সহকারী হওয়ার। কিন্তু ভাগ্য নির্মম ছিল। মুম্বইয়ে আসার এক সপ্তাহের মধ্যেই গুরু দত্তের মৃত্যু হয়, আর ভেঙে যায় তার স্বপ্ন। তবুও দমে যাননি তিনি।
সংগ্রামের দিনগুলো ছিল অসহনীয়। কখনও রেলস্টেশনে, কখনও পার্কে, কখনও স্টুডিওর করিডোরে রাত কাটিয়েছেন। খাওয়ার টাকা না থাকায়, দাদর থেকে বান্দ্রা পর্যন্ত হেঁটে গিয়েছেন। ক্ষুধা, অপমান আর অনিশ্চয়তার সেই দিনগুলো তাঁকে ভেঙে দেয়নি, বরং আরও দৃঢ় করেছে।
বেঁচে থাকার তাগিদে তিনি কাজ নেন পরিচালক কামাল আমরোহির কাছে। মাসে মাত্র ৫০ টাকা বেতনে, এক বছর কাজও করেন জাভেদ। যখন পরিচালক এস এম সাগর তাকে সহকারী হিসেবে নিয়োগ করেন। সেখানেই তার পরিচয় হয় অভিনেতা সেলিম খানের সঙ্গে।
সেলিম-জাভেদ জুটি একসাথে ২৪টি ছবি লিখেছেন, যার মধ্যে ২০টি হিট হয়েছে। দিওয়ার, শোলে এবং জঞ্জিরের মতো ছবি দিয়ে তারা বলিউডে এক নতুন ধারা তৈরি করেছেন। জাভেদ আখতার অসংখ্য ছবির জন্য গানও লিখেছেন। তিনি পাঁচটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এবং ১৯৯৯ সালে পদ্মশ্রী এবং ২০০৭ সালে পদ্মভূষণে ভূষিত হয়েছেন।


