অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তীর নাম উঠলেই মনে পড়ে যায় ‘ওগো বধূ সুন্দরী’র ললিতাকে। ঋতাভরীর অভিনীত ‘ওগো বধূ সুন্দরী’ টিভির পর্দায় আলোড়ন ফেলেছিল। কাহিনী সমাপ্তি হলেও ধারাবাহিক এখনও মানুষের মনে জাগ্রত। একটা সময় ছিল যখন সন্ধ্যে হলেই এই ধারাবাহিকের জন্য মুখিয়ে থাকত দর্শক। একটা এপিসোডও মিস দিতেন না তারা।
‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিরিয়ালে ললিতা চরিত্রে অভিনয় করেই ঋতাভরীর ভাগ্য পাল্টে যায়। প্রথম ধারাবাহিকে এতটাই জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন যে টলি থেকে বলি’তে পাড়ি দিয়েছেন। তবে জানলে অবাক হবেন, এই ধারাবাহিকে ঋতাভরী চক্রবর্তী নয় বরং অভিনয় করার কথা ছিল অভিনেত্রী ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়ের। যিনি ‘করুণাময়ী রাসমণি’র সারদামণি’, ‘কড়িখেলা’ ধারাবাহিকের মতো একাধিক জনপ্রিয় ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন
সালটা ২০০৮! সেই সময় অভিনয় জগতের সঙ্গে পরিচিত ছিলেন না ত্বরিতা। তখন তিনি কলেজ ছাত্রী। ম্যাডক্সের পুজোয় আড্ডায় দিচ্ছেন। তাঁর অজান্তেই সংবাদমাধ্যমে তাঁর ছবি প্রকাশিত হয়। আর সেই ছবির সূত্র ধরে প্রথম প্রযোজক রবি ওঝার ‘‘ওগো বধূ সুন্দরী’ সিরিয়ালে অভিনয় করার অফার আসে তাঁর কাছে।
View this post on Instagram
সেই সময় ললিতা চরিত্রের প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন এই অভিনেত্রী। কারণ তিনি পড়াশুনো করছিলেন এবং বাড়ি থেকে অভিনয় করার অনুমতি পাননি। তাই বাধ্য হয়েই না করে দিয়েছিলেন ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। আর সেই জায়গায় আসেন ঋতাভরী।
এত বড় সুযোগ ছাড়ায় আফসোস হয় না ত্বরিতা র? এই প্রসঙ্গেই অভিনেত্রী হিন্দুস্তান টাইমস বাংলার এক সাক্ষাৎকারে জানান, “তখন আমি জানি না এই ধারাবাহিকটি এত জনপ্রিয়তা পাবে। রবি ওঝার কাজ না করার আফসোস থেকেই যায়। আসলে ছোটবেলায় বাবাকে হারিয়েছি।। মা আমাকে একাই মানুষ করেছেন। তাই মায়ের কথা অমান্য করতে চাইনি”।
View this post on Instagram