“আমার ছেলেটা স্পেশাল চাইল্ড… হার্ট ব্লক ও দুটো ফুটো আছে, ডান হাতটাও অকেজো”, এই প্রথম ছেলেকে নিয়ে মুখ খুললেন সাগ্নিক

সাগ্নিক চ্যাটার্জী

অভিনেতা সাগ্নিক চ্যাটার্জী বিচ্ছেদের খবর নিয়ে এই মুহুর্তে তোলপাড় সোশ্যাল মিডিয়া। ২০০৪ সালে প্রাক্তন স্ত্রীর বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে বিচ্ছেদের কারণে অতীতে বহু ঝড় একাই সামলেছেন অভিনেতা।

বিচ্ছেদের পর ছেলে মেয়েকে একা হাতে মানুষ করে প্রাক্তন স্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন সাগ্নিক। এরপর মেয়ে জার্মানিতে পিএইচডি’র সুযোগ পেলে মেয়ে নিজেই তার মাকে বাবার হয়ে যোগ্য জবাব দেয়। অন্যদিকে সাগ্নিকের একমাত্র ছেলে একজন ‘স্পেশাল চাইল্ড’।

ছেলের প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাগ্নিক জানান, ‘আমার প্রথম পক্ষের এক ছেলে আর এক মেয়ে, এটা সবাই কমবেশি জানে। কিন্তু অনেকেই জানেন না যে, ছেলেটা স্পেশাল চাইল্ড। যখন আমার স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় তখন ওর মাত্র চার বছর বয়স। জন্ম থেকেই ওকে অনেক লড়াই করতে হয়েছে। যখন জন্মেছিল একদম নীল রঙের, হৃদযন্ত্র ঠিক করে কাজ করত না। ওর যে সমস্যাটা ছিল ওটার নাম ‘টেট্রলজি অফ ফ্যালট’ (Tetralogy of Fallot)’।

একদিকে হার্টে ব্লক ছিল, দুটো ফুটো ছিল, ইত্যাদি। সেই অবস্থা থেকে ওকে বাঁচিয়ে আনা সহজ ছিল না। মাত্র তিনি দিন বয়স থেকে ওর অপরেশন শুরু হয়েছে, যেটা তিন বছর পর্যন্ত চলেছে। ওই সময় যেহেতু আমার বিচ্ছেদ হয়, আইন অনুযায়ী আমি সন্তানের কাস্টডি পেতাম না।

বাবারা সাত বছর পর্যন্ত পায় না, কিন্তু আমার প্রাক্তন স্ত্রী প্রেমের সম্পর্কে জড়াতেই দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে। আমায় বলেছিল সন্তানদের মানুষ করতে পারব না, কিন্তু আজ সে ভুল প্রমাণিত হয়েছে।

২০১৮ তে মেয়ে পিএইচডি করতে ফ্রান্সে গেল। ছেলের কথা যদি বলি, ডান হাতটা অকেজো তাও আমি দেখতাম ও নিজে ঠিক করে হাঁটতে না পারলেও অন্যদের নকল করে সব শিখে নিচ্ছে।

তাই কোনদিনও স্পেশাল স্কুলে ভর্তি করিনি, চাইতাম আশেপাশে ও সুস্থ মানুষদের দেখে সেটাই শিখবে। কিন্তু সুস্থ মানুষদের কাছেই ও মানসিক হেনস্তার শিকার হয়। শেষে ওর মতো বাচ্চাদের স্কুলে ওকে ভর্তি করি। এরপর মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক সবই করেছে। এখন গান-বাজনা নিয়েই ভালো আছে।”