তনুকা চট্টোপাধ্যায়, বাংলা টেলিভিশন জগতে পরিচিত নাম। বাইরে থেকে অভিনেত্রীর জীবন যতটা আলো ঝলমলে ব্যাক্তিগত জীবন ততটাই লড়াই আর বেদনার। অভিনেত্রীর জীবনে ঘটে যায় এক দুঃখজনক ঘটনা। ছেদ পড়ে ৩২ বছরের দাম্পত্যে। সেই ক্ষত এখনও দগদগে।
স্বামীকে হারান তনুকা। ২০২৩ সালেই অভিনেত্রীর জীবনটা একেবারে উলটপালট হয়ে গিয়েছিল। সেই সময় গাঁটছড়া ধারাবাহিকে অভিনয় করছিলেন অভিনেত্রী। লাঞ্চ ব্রেক চলাকালীনই বাড়ি থেকে হঠাৎ স্বামী মৃত্যুর খবর আসে। সেটে এই খবর শুনে একেবারে ভেঙে পড়েছিলেন অভিনেত্রী।
কিন্তু তনুকা পেশাদার। মেগার দায়িত্ব রয়েছে তাঁর কাঁধে। স্বামী মারা যাওয়ার পরের দিন শুধু বিরতি নিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই ফের কাজে যোগ দেন তনুকা। চরিত্রের প্রয়োজনে ফের সিঁথিতে ওঠে সিঁদুর। স্বামীর মৃত্যুর পর কেটেছে দুই বছর।
৩২ বছরের দাম্পত্য জীবনে তিনি পুরোপুরিভাবে স্বামীর উপর নির্ভরশীল ছিলেন। তিনি যেহেতু শুটিংয়ের কাজে ব্যস্ত থাকতেন তাই জন্য তার স্বামী বেশিরভাগ সময় তার মেয়ের স্কুল পড়াশোনা সবকিছুর দায়িত্বে থাকতেন।
আজও প্রতিপদে তাঁকে মনে পড়ে তনুকার। সময় চলে যায়… তবু লাঞ্চটাইমে কেউ আর ফোন করে জিজ্ঞাসা করেন না ‘খেয়েছ’? অভিযোগ-অনুযোগ শোনার মানুষটাই যে আর নেই।


