যেমন মিষ্টি গলা, তেমনই মিষ্টি ব্যবহার, এক সময় বলিউডের সুরের মঞ্চ কাঁপিয়েছিলেন অলকা ২৫টি বিভিন্ন ভাষায় ২০,০০০-এরও বেশি গান গেয়েছেন তিনি, যার বেশির ভাগই সুপারহিট। এদেশে তার নাম জানেন না এমন লোক পাওয়া মুশকিল। তবে গানের জগতে এই ব্যাপক সাফল্যই নাকি দূরত্ব তৈরি করেছিল তার সংসার জীবনে।
১৯৮৯ সালে শিলং-এর ব্যবসায়ী নীরাজ কাপুরকে বিয়ে করেন অলকা। পারিবারিক সূত্রেই পরিচয়, তারপর প্রেম- বিয়ে। অথচ ৩৪ বছর ধরে অলকা স্বামীর সঙ্গে থাকেন না। তাদের মেয়ে সাইশা কাপুর। অলকা আর নীরাজের প্রেম কাহিনি কোনো বলিউড সিনেমার থেকে কম নয়।
অলকা থাকতেন মুম্বইয়ে। অন্য দিকে নীরজ শিলং-এর বাসিন্দা। এই দূরত্বই তাদের বিয়ের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। তবে তার পরেও বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তারা। দুই মাস প্রেমের সম্পর্কে থাকার পরে বিয়ে করেছিলেন তাঁরা।প্রথমে তারা ঠিক করেছিলেন, কিছু দিন শিলং-এ থাকবেন, কিছু দিন মুম্বইয়ে।
কিন্তু তার ঠিক পরে অলকার কর্মজীবনে সাফল্য আসতেই তাদের সম্পর্কে দুরত্ব বাড়তে থাকে। মুম্বইয়ে অলকার কাজের সুযোগ বাড়তে থাকে অন্যদিকে নীরজের ব্যবসা ছিল শিলং-এ। যার কারনে চার থেকে পাঁচ বছর ধরে একে অপরের সঙ্গে দেখা করা এবং কথা বলা পর্যন্ত বন্ধ করে দেন।
একটা সময় পর তারা বুঝতে পারে একে অপরকে ছাড়া বাঁচতে পারবেন না তারা। একে অপরের প্রতি ভালবাসা উপলব্ধি করার পরেই, অলকা মুম্বইয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নেন, এবং নীরজ শিলংয়ে ব্যবসা চালিয়ে যান। গত ৩৪ বছর ধরে লং ডিসট্যান্স বৈবাহিক সম্পর্ক চালিয়ে যাচ্ছেন তারা।
একটা সময় কুমার শানু ও উদিত নারায়ণের সঙ্গে অলকার প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে খবরও রটে। যদিও তা সম্পুর্ন ভুয়ো। বরাবর নীরজকেই ভালবেসেছেন অলকা।
অলকা জানিয়েছেন নিজের সাফল্য নিয়ে এতটাই আসক্ত ছিলেন, সংসারের দিকে মন দিতে পারেননি। আজও নীরজের সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে আবদ্ধ তিনি। কিন্তু কোথাও গিয়ে এখনও তার মনে হয়, তারা আলাদাই থেকে গিয়েছেন জীবনের অধিকাংশ সময়। তা নিয়ে আজ আক্ষেপও হয় গায়িকার।

