জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘কে প্রথম কাছে এসেছি’ তে চলছে জমজমাট পর্ব। ধারাবাহিকের গল্প অনুযায়ী, মধুবনীকে বরণ করে নিয়েছেন সুরমা। আর তা কিছুতেই মেনে নিতে পারছে না কমলিনী। এমনকি মধুবনী ও মিহিকে সেনগুপ্ত বাড়ি থেকে চিরদিনের মত বের করে দেওয়ার চিন্তা করে।
অন্যদিকে মধুবনী মিহিকে বোঝাতে থাকে সৌভিক তার বাবা নয়, তার বাবা শুধু ঋক। এরপরই নিমকি ঠাম এসে নিয়ে চলে যায় মিহিকে। আর সেই ফাঁকে মধুবনীর কাছে মিহির আসল পরিচয় জানতে চায় ঋক। সৌভিকের কথায়, মিহির সঙ্গে মধুবনীর কোন রক্তের সম্পর্ক নেই, কেন এমন বলে সৌভিক, সেটাও জিজ্ঞাসা করে ঋক।
মধুবনী ঠিক করে অতীতের সব কথা, কিভাবে সে মিহির মা হয়ে হয়েছে সেই সব কথাই সে ঋককে জানাবে, পড়াশোনা সঙ্গে নাচ নিয়েই কেটে যাচ্ছিল জীবন। সঙ্গে ছিল প্রেমিক সৌভিক। হঠাৎ সে জানতে পারে তার বাবার অসুস্থতায়, চিকিৎসার জন্য ২৫ লাখ টাকা প্রয়োজন।
ধারাবাহিকের আসন্ন পর্বেই জানা যাবে, সেই টাকা যোগার করতেই বিনিময়ে এক নিঃসন্তান দম্পতির সন্তান জন্ম দিতে রাজি হয়েছিল মধুবনী। টাকার লোভে সৌভিকও এই কাজে সায় দেয় মধুবনীকে। কিন্তু মধুমনি অসুস্থ বাচ্চার জন্ম দেওয়ায়, মিহির আসল বাবা-মা এই বাচ্চা আর নিতে চায়না। অন্যদিকে সৌভিক তখন মধুবনীকে বলে এই বাচ্চা যখন ওর বাবা মা নিতে চায় না এই বাচ্চাকে অনাথ আশ্রমে দিয়ে দেওয়াই ভালো হবে।
কিন্তু নিজের গর্ভে ধারন করা সন্তানকে অনাথ আশ্রমে পাঠিয়ে দিতে রাজি হয়নি মধুবনী। যার কারণে সৌভিকও মধুবনীকে ছেড়ে চলে যায়। মধুবনীর কাছ থেকে অতীতের সমস্ত কথা শুনে মধুবনীর প্রতি শ্রদ্ধা আরও বেড়ে যায় ঋকের।