৬ বছরের শিশুর প্রাণ বাঁচাতে নিজের জীবনের বাজি রেখেছিলেন ময়ূর শেলখের নামের একজন রেলকর্মী। তার এই সাহসিকতার কাজের জন্য রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল তাকে সংবর্ধনা দিলেন।
গত ১৭ এপ্রিল ঘড়ির কাঁটায় তখন ৫ টা সিসিটিভির ক্যামেরায় দেখা যাচ্ছে মুম্বইয়ের ভাঙানি রেলস্টেশনে একটি ফাঁকা প্ল্যাটফর্মে এক মহিলার হাত ধরে হাঁটছিল এক ছোট শিশু। আচমকাই মহিলার হাত ছেড়ে দৌড়াতে গিয়ে রেললাইনে ছিটকে পড়ে যায় শিশু। তখন লাইনে ঢুকে পড়েছিল ট্রেন। দ্রুত গতিতে ছুটে আসছে ট্রেন আর বিপরীতে শিশুটিকে বাঁচাতে দেবদূতের মতো ছুটে আসছে রেলকর্মী।
বাচ্চাটিকে লাইন থেকে প্ল্যাটফর্মে তুলে দেন এবং নিজের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কোনো মতে প্ল্যাটফর্মে ওঠে সে। গা ঘেঁসে বেরিয়ে যায় ট্রেন। নিজের জীবনের সাথে বাজি রেখে ছোট শিশুটির প্রাণ বাঁচায়।
परिस्थितियां जो भी हों, हमारे रेलकर्मी अपना दायित्व निभाने में हमेशा आगे रहे हैं।
इसका उदाहरण पेश करते हुए मुंबई के वांगणी स्टेशन पर रेलवेमैन मयूर शिल्के ने एक बालक को ट्रेन की चपेट में आने से बचाया।
रेल परिवार को उन पर गर्व है। उनकी इस बहादुरी के लिये उन्हें पुरस्कृत किया गया। pic.twitter.com/Ky5jPF8Sn7
— Piyush Goyal (@PiyushGoyal) April 20, 2021
রেল মন্ত্রকের তরফ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সিসিটিভির ফুটেজ শেয়ার করা হয়। তারপর থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় হিরো হয়ে যায় এই রেলকর্মী। তার বীরত্বের জন্য প্রচুর প্রশংসা পান ময়ূর। যদিও সবাই প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছিল ওই মহিলা অর্থাৎ বাচ্চাটির মায়ের দিকে। মহিলাটি কীভাবে এত অসচেতন ছিল। যদিও সেই ময়ূর শেলখে ভুল ভেঙ্গে দেয়।
রেলকর্মী জানান “বাচ্চাটির মা দৃষ্টিহীন। তার করার মতো কিছু ছিল না। প্রথমে আমি ভয় পাই যে বাচ্চাটিকে বাঁচাতে গিয়ে আমি বিপদে পরতে পারি। কিন্তু আমার মনে হয় বাচ্চাটাকে আমাকে বাঁচাতেই হবে। কিছু না ভেবেই আমি ছুটে যাই”।
সেন্ট্রাল রেলওয়ে অফিসে তাকে সংবর্ধনা জানান খোদ রেল মন্ত্রক। রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল জানান তার ময়ূরের এই কাজে আমি গর্বিত। অফিসে ঢুকতেই তার এই সাহসিকতার জন্য সকল স্টাফরা হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানিয়েছেন।