“ওর মা ডাকটা আজও কানে বাজে… একমাত্র ছেলেকে নিজের কাছে রাখতে না পারার যন্ত্রনায়…” আক্ষেপ তুলিকা বসুর

তুলিকা বসু

টেলিভিশনের পর্দায় পরিচিত মুখ অভিনেত্রী তুলিকা বসু। কেরিয়ারে সফলতা মিললেও বর্তমানে কাজের সুযোগের অভাবে যাত্রাপালার মঞ্চকেই বেছে নিয়েছেন অভিনেত্রী। কাজের লড়াইয়ের মাঝেই উঠে এল অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত জীবনের লড়াই।

আসলে তুলিকা বসুর জীবনের গল্পটা কিছুটা অন্য রকম। এক সময়ে তার বিয়ে হয় যার সঙ্গে, তিনি ছিলেন নেতাজির বাড়ির ছেলে। শেষ পর্যন্ত তাঁর সঙ্গে আর থাকা হয়ে ওঠে না। ছেলেকে নিয়ে সরে আসেন। আগে, যখন তাঁর নিজের কোনও রোজগার ছিল না, তখন ছোট্ট ছেলেটিকে তার স্বামী পাঠিয়ে দেন কার্শিয়ং-এর হোস্টেল-স্কুলে। ছেলের বয়স তখন সাত কী আট বছর। পরিস্থিতির চাপে তখন বাধ্য হয়েই ছেলেকে দূরে পাঠাতে হয়।

তুলিকার কাছে সেই সিদ্ধান্তটাই ছিল অত্যন্ত কষ্টের। কাজের মাঝে থাকলেও যেন ছেলের চিৎকার করে ‘মা’ ডাক শুনতে পেতেন অভিনেত্রী। তুলিকার কথায়, ‘তখন বুঝতে পারি, নিজের রোজগার কত জরুরি। নিজের ছেলেকে নিজের কাছে রাখার জন্যেও অর্থ প্রয়োজন।’

সেই থেকে আজ পর্যন্ত লড়াই যাচ্ছেন অভিনেত্রী। তবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজের অনিশ্চয়তার মাঝে ছেলের ভবিষৎ নিয়ে বড়ই দুশ্চিন্তায় তুলিকা। ছেলেই এখন তার একমাত্র ভরসা।