শ্রীময়ী ধারাবাহিকের ‘ডিংকা’ কে মনে পড়ে? পাশাপাশি এক্কাদোক্কা ধারাবাহিকেও যথেষ্ট সাড়া ফেলেছিল অভিনেতা সপ্তর্ষি মৌলিকের চরিত্রটি। এই মুহুর্তে স্টার জলসার গৃহপ্রবেশ ধারাবাহিকে আকাশ সেনের ভুমিকায় দেখা যাচ্ছে সপ্তর্ষি কে। তবে অভিনেতার জীবনের অন্ধকার অধ্যায়ের কথা হয়ত অনেকেরই অজানা।
সপ্তর্ষির বাড়ি উত্তরপাড়া। সেখানেই প্রাথমিক পড়াশুনা। মাধ্যমিকের পর বাবা মেয়ের ইচ্ছেতে সায়েন্স নিয়ে বেলুর হাই স্কুলে ভর্তি হলেও ভাল রেজাল্ট করতে পারেননি। পড়ে সেন্ট পলস কলেজে ইকোনমিক্স অনার্স নিয়েও পরলেও সেবারেও ব্যর্থ হন তিনি। এরপর থেকেই পড়াশুনার প্রতি নিজের প্রতি ক্ষোভ জন্মায় তার।
আসক্ত হয়ে পড়েন নানারকম নেশায়। অভিনেতার কথায়, “যা যা নেশা মানুষ ভাবতে পারে সমস্ত করেছি। অ্যালকোহলের প্রতি ছোটবেলা থেকেই কোন আসক্তি ছিল না, তাই শুকনো নেশা (ড্রাই ইন্টক্সিকেন্ট) করতে শুরু করি। যেহেতু তেমন গন্ধ পাওয়া যাত না তাই বাড়ির লোক বুঝতে পারেনি। ৪-৫ বছর এমন করে কাটানোর পর নিজেই বুঝতে পারলাম শরীর একেবারে ভেঙে গেছে এই অত্যাচারে।”
“কালো হয়ে গেছি, রোগা চেহারা, যখন তখন অজ্ঞান হয়ে যেতাম। একদিন বাবাকে গিয়ে বললাম ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে। সেখানে যেতেই তারা বললেন ভর্তি হতে হবে। আমি বললাম ওষুধ দিয়ে ১ মাস সময় দিন, তার মধ্যে আমি যদি আবার তেমন কিছু করি তাহলে ভর্তি নেবেন।”
“বাবাকে বললাম একটা ঘরে আমাকে বন্ধ করে দিতে। শুধুমাত্র খাবার সময় খাবার দেবে। ওই একটা মাস সবচেয়ে অন্ধকার ছিল আমার জন্য। যখন তখন কাঁপুনি হত, বমি হত, মল মুত্র বেড়িয়ে যেত বুঝতে পারতাম না। সেই সময় থেকে বাংলা সাহিত্য কবিতা পড়া আমাকে নতুন কিছু করার উৎসাহ দিল। তারপরেই নাটকের দলে ভর্তি হওয়া। সেইথেকে আজ পর্যন্ত আমার লড়াই চলছে।”

