শুটিং ফ্লোরেও জুটেছে চরম অপমান! ১ টা ডিমও ভাগ করে খেতে হত, সুদীপ্তা জীবনের কাহিনী চোখে জল আনবে

সুদীপ্তা ব্যানার্জি

সেলিব্রিটি তকমার মধ্যে থেকেও জীবনের কষ্টে ঘেরা অধ্যায়কে কখনই ভোলা যায় না। তেমনই কিছু কঠিন অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন বাংলা সিরিয়ালের অত্যন্ত জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী সুদীপ্তা ব্যানার্জি। ২০০৭ সাল থেকে আজ প্রায় ১৭ বছর অভিনয় জগতের সাথে যুক্ত রয়েছেন সুদীপ্তা।

পর্দায় নায়িকা হিসাবেই আত্মপ্রকাশ ঘটলেও পরবর্তীতে খলনায়িকা হিসাবেই পেয়েছেন বিরাট সাফল্য। ‘খেলা’ সিরিয়ালে বিন্দু চরিত্রে অভিনয় দিয়েই অভিনয়ে হাতেখড়ি। সেইসময় ক্লাস টুয়েলভের ছাত্রী ছিলেন তিনি। এরপর একের পর ধারাবাহিকে নিজের অভিনয় দিয়ে দর্শকের মনে জায়গা করে নিয়েছেন। জোশ টকসের মঞ্চে এসেই জানালেন জীবনের নানা অজানা কাহিনী।

হাওড়ার শিবপুরের মেয়ে সুদীপ্তা ছিলেন নিন্ম মধ্যবিত্ত পরিবারের খুব সাধারণ একজন মেয়ে। পড়াশোনাও হয়েছে বাংলা মিডিয়ামে। মাধ্যমিক পাশ করে তার বাবার রিটায়ারমেন্টের পর সংসার চালানোর জন্য বেশ কিছু প্রোডাকশন হাউজে নিজের একাধিক ছবি দিয়েছিলেন সুদীপ্তা। পর পর তিনবার রিজেক্ট হয়ার পর টেলিভিশনে ব্রেক পান তিনি।

অভিনেত্রী কথায় জানা যায়, একটা সময় বাড়ি থেকে বেরোতেন মাত্র পঞ্চাশ টাকা নিয়ে। দিনের পর দিন গাড়ির ভাড়া বাকি থাকতো। একটা জলের বোতল কিংবা ছাতা কেনার টাকা পর্যন্ত ছিল তার কাছে। কখনও কখনও একটা ডিম ভাগ করেও খেতে হয়েছে তাকে আর তার দাদাকে।

এমনকি শুটিং ফ্লোরেও কম অপমান সহ্য করতে হয়নি তাকে। জুনিয়র আর্টিস্ট হওয়ায় প্রথমদিকে মেকআপ রুমে বসতে দেওয়া হত না তাকে।

কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে গিয়েও নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রেখেই লড়াই চালিয়ে গিয়েছিলেন ‘সোহাগ জল’ খ্যাত বেণী বৌদি।