গতবছর ছিল বাবার সঙ্গে আমার শেষ মহালয়া, বাবার স্মৃতিতে আবেগপ্রবণ শ্রীতমা ভট্টাচার্য

শ্রীতমা ভট্টাচার্য

আজ মহালয়া দেবীপক্ষের সূচনা। চারিদিকে পূজার গন্ধ। কিন্তু কোথাও মন ভারাক্রান্ত অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্যের। আজকের দিনে বাবার সাথে কাটানো স্মৃতি মনে পড়ছে অভিনেত্রীর। এই বছর মহালয়া ও পূজা তার কাছে ফিকে।

গতবছর নভেম্বর মাসে বাবাকে হারিয়েছেন অভিনেত্রী শ্রীতমা ভট্টাচার্য । কোভিড কেড়ে নিয়েছে তার হিরোকে। আজ বাবার স্মৃতিতে আবেগপ্রবণ শ্রীতমা। অভিনেত্রী জানায়, “মহালয়া সম্পর্কে আমার অভিজ্ঞতা গত বছর পর্যন্ত ভিন্ন ছিল। ভোরে মন্দিরে যাওয়া সবসময়ই একটি আচার ছিল। গত বছরও, বাবা -মায়ের সঙ্গে, আমি খুব সকালে কালীঘাট মন্দিরে গিয়েছিলাম। আমরা পুজো দিয়েছিলাম, ভোগ খেয়েছি, এবং প্রচুর তৃপ্তি নিয়ে ফিরে এসেছি। কিন্তু জানতাম না,  বাবার সঙ্গে এটাই হবে আমার শেষ মহালয়া”।

শ্রীতমা ভট্টাচার্য

অভিনয় জগতে প্রবেশ করার পরও অভিনেত্রী এই দিনটি শুধুমাত্র তার বাবা-মার জন্য ছুটি নিতেন। গত বছর কীভাবে তার জীবন অন্য মোড় নিয়েছিল তা অভিনেত্রী শেয়ার করেছিলেন।  তিনি জানায়, “দুর্গাপূজা বাকিদের মতোই আমার জন্য বিশেষ। একজন অভিনেত্রী হওয়ায় আমরা বেশিরভাগ শো, পূজা পরিক্রমা এবং অন্যান্য অনুষ্ঠানে ব্যস্ত থাকি। কিন্তু আমি আমার পরিবারের জন্য সময় বের করি”।

শ্রীতমা ভট্টাচার্য আরও বলেন, “গত বছর বাবা পুজোর সময় ছুটিতে যেতে চেয়েছিলেন। আমি কোভিড নিয়ম মাথায় রেখে সব ব্যবস্থা করেছি। আমরা সপ্তমীতে মন্দারমনিতে পৌঁছেছি এবং সেই রাতে বাবার শরীর খারাপ হয়। পরে, আমরা কলকাতায় ফিরে আসি, এবং বাবা বাবা কোভিড আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। নভেম্বরে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন কিন্তু এক সপ্তাহের মধ্যে বাবা মারা যান”।

এইবছর পূজার সম্বন্ধে বলতে অভিনেত্রী জানায় “আমি আমার জীবনের সবচেয়ে বিশেষ অংশ হারিয়েছি। তাকে ছাড়া জীবন এক নয়। এমন শূন্যতা আছে যা কেউ পূরণ করতে পারে না।  বাবা ছিলেন সবচেয়ে বড় শক্তি। আজ থেকে দুর্গা পূজার কাউন্টডাউন শুরু হয়েছে, আমি কিছুই অনুভব করতে পারছি না। তাকে ছাড়া মহালয়া এবং দুর্গাপূজা সম্ভব নয়”।

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here