জি-বাংলার অতি চর্চিত ধারাবাহিক ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’। ধারাবাহিকের যারা নিয়মিত দর্শক তারা জানেন, যে শাস্তি পাওয়ার হাত থেকে মান্দারকে বাঁচাতে আপ্রাণ চেষ্টা করে চলেছে শ্যামলী।
ধারাবাহিকের আসন্ন পর্বে দেখা যাবে, ঠাকুর মশাইকে সব আগে থেকে শিখিয়ে এনেছে বলে তার দেওয়া সাক্ষী নাকচ করে আদালত। আর থি সেই মুহূর্তে শ্যামলী নিজে সাক্ষী দেয় আর তার সেই ভিডিওটি পেশ করে আদালতের কাছে। শ্যামলীর ভিডিওটা আদেও সত্যি কিনা তা পরীক্ষা করতে পাঠায় আর তারপরেই ভিডিও দেখে আদালত নিশ্চিত হয় যে দীপক সরেন এখনও বেঁচে আছে।
ভিডিও দেখে আদালত মন্দারকে নির্দোষ ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না, বিপক্ষের উকিল দাবি করে মন্দার খুন না করলেও, দীপক সরেনকে খুন করার চেষ্টা তো করেছিল, আর সেই ভিত্তিতেই মন্দারকে শাস্তি দেওয়া হোক। কিন্তু আদালত বিরতির পর সুনানি ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়। অন্যদিকে অহনা মনে মনে নিশ্চিত হয় যে খুন করার চেষ্টায় মন্দার শাস্তি ঠিকই পাবে।
নিজেদের বাঁচাতে অরুনাভ আর দীপক বেরিয়ে যায় আদালত থেকে। কাউকে কিছু না জানিয়ে শ্যামলীও বেরিয়ে যায় আদালত থেকে। শ্যামলীকে না দেখতে পেয়ে রোহিণী তার দাদা অনিকেত কে বলে, শ্যামলী হয়ত পালিয়ে গেছে।
আদালতের বিরতির পর, সমস্ত সাক্ষ্য প্রমান অনুযায়ী যখন মন্দারকে দোষী ঘোষণা করতে যাবে, ঠিক তখনই চিলাপোতা গ্রামের সমস্ত মহিলাদের নিয়ে আদালতে হাজির হয় শ্যামলী। ওই সমস্ত মহিলাদের দাবি দীপক সরেনকে তারাই মেরেছে। সবশেষে, তাদের দেওয়া সাক্ষীর ভিত্তিতেই কি শাস্তির হাত থেকে রেহাই পাবে মন্দার? আসন্ন পর্বেই তা জানা যাবে।