
কাটোয়া র মেয়ে শ্রুতি দাসের জীবনের গল্প কম বেশি সকলের জানা। বিশেষ করে যারা সিরিয়ালের দর্শক। কটোয়া থেকে কলকাতার উঠে এসে সাফল্য পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয় তাকে। এমনকি গায়ের রং নিয়ে নেটিজেনদের কাছে ট্রোলডও হতে হয়েছে আজকের যুগে দাঁড়িয়ে।
ত্রিনয়নী, দেশের মাটি’ সফল হওয়ার পর তাকে কাজের জন্য দীর্ঘ বছর বসে থাকতে হয়েছে। অনেক সময় এই ইন্ডাস্ট্রিতে তাকে শুনতে হয়েছে তার মতো চরিত্র পাওয়া গেলে তাকে সুযোগ দেওয়া হবে। তবে হাল ছাড়েননি অভিনেত্রী।
রাঙবউ ধারাবাহিকের হাত ধরে পর্দায় কামব্যাক করে শ্রুতি আর সেটাই ছিল তার জীবনের টার্নিং পয়েন্ট। এরপরেই মেলে একের পর এক বড়পর্দায় সুযোগ। গ্রাম থেকে উঠে কলকাতায় সফল হওয়া মুখের কথা নয়। আর সেটাই করে দেখিয়েছেন শ্রুতি। এখন গ্রামে গেলে তাকে দেখতে ভিড় করেন গ্রামের মানুষরা। আর মানুষের এত ভালোবাসা দেখে চোখ ভিজে আসে অভিনেত্রীর।
সম্প্রতি মায়ের দেশের বাড়ি মেদিনীপুর গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে তাকে ঘিরে অসংখ্য মানুষের ভিড়। আর সেই অভিজ্ঞতাই সোশ্যাল মিডিয়ায় তুলে ধরলেন শ্রুতি।
মায়ের দেশের বাড়ি থেকে কিছু ছবি শেয়ার করে ছোটপর্দার রাঙাবউ লেখেন, ‘মায়ের দেশের বাড়ি,গিধনী,মেদিনীপুর। এ আমার দাদুর ভিটে,সব আছে অথচ কেমন ফাঁকা! দাদু দিদুন আজ আর নেই,বড়োমা বড়ো বাবা তো নেই-ই। শেষ এই গ্রামে যাওয়া প্রায় সতেরো আঠারো বছর আগে,
তখন আত্মীয় স্বজনে মিলে উঠোন ভর্তি ছিলো। এদিন উঠোন ভর্তি হলো আমায় দেখতে! এই গ্রামের নাতনি সিরিয়ালের নায়িকা! তাকে নাকি “অরিজিনালি” চাক্ষুষ করে ছুঁয়ে দেখার সাধ ছিলো তাদের!
সেই আশা পূর্ণ হলো। মা বাবা দূরে দাঁড়িয়ে আনন্দ পাচ্ছিলেন। মা ছোটোবেলায় এখানে দিনের পর দিন কাটিয়েছেন, হয়তো ভাবেন নি তার মেয়ে কে দেখতে পাশের গ্রাম থেকে ভোর রাত থেকে সারা দিন মেয়ে বউ বুড়ো বুড়ি কচিকাঁচা রা ছুটে এসে ভীড় করবেন। বেশ মজা লাগে,বুক ঢিপঢিপ করে,আনন্দে কান্না পায়,জয়ের কান্না! কিছু তো পেরেছি!’
View this post on Instagram