জীবনে কঠিন পরিস্থিতিতে ধৈর্য রেখে কীভাবে একা লড়তে হয় তা গোটা দেশকে শিখিয়ে দিলেন শিল্পা । বিশেষ করে মেয়েদের। ব্যাঙ্গালোর বাসিন্দা শিল্পা বর্তমান যুগের মেয়েদের আদর্শ হতে পারে। মেয়েরা চাইলে সব করতে পারে আরও একবার প্রমান করে দিলেন শিল্পা।
২০০৫ সালে ব্যাঙ্গালোর এক স্থানীয় ব্যবসায়ীর সাথে বিয়ে করেন শিল্পা । স্বামী, সন্তান নিয়ে সুখেই সংসার করছিলেন। কিন্তু হঠাৎ জীবনে নেমে আসে খারাপ সময়। ২০০৮ সালে শিল্পাকে মিথ্যে বলে ব্যবসার কাজে বাইরে চলে যান তার স্বামী। কিছুদিনের মধ্যেই ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তার স্বামী আর ফিরে আসেননি।
অনেক চেষ্টা করলেও স্বামীর সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি। তখন তার কোলে মাত্র তিন বছরের শিশু। বাচ্চাকে নিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েন। কিন্তু হাল ছাড়েননি শিল্পা। বুঝতে পেরেছিল জীবন যুদ্ধে এবার তাকে একাই লড়তে হবে।
ছোট থেকেই রান্নার আগ্রহী ছিলেন। বিভিন্ন ধরণের রান্নাও করতে পারতেন। তাই শিল্পা সিধান্ত নেন ফুড কোর্ট খোলার। কিন্তু হাতে ছিল মাত্র এক লক্ষ টাকা। মাহেন্দ্রর একটি শোরুম থেকে ট্রাক কিনে রাস্তার ধারেই ফুড ট্রাকের ব্যবসা শুরু করেন।
শিল্পা জানায়, “প্রথমদিকে আমি জানতাম না আমার ব্যবসা চলবে কিনা, কিন্তু হাল ছাড়িনি। ধীরে ধীরে লোকজন আসতে শুরু করে। তখন পাঁচ-ছয়শত টাকা আয় হত”।
তিনি আরও বলেন, “মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা কোম্পানির মালিক অনন্ত মাহিন্দ্রা আমার জীবনের কথা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে তারপর থেকে এখানে প্রচুর কাস্টমার আসেন। চিকিৎসক, শিক্ষার্থী এবং চাকুরীজীবী লোকেরা আমার তৈরি খাবার খেতে আসে”।
শিল্পা জানান, “কাস্টমার বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি একজন হেল্পারও রেখেছি। এখন আমি ভালোভাবে সন্তানকে বড় করছি, এই টাকায় আমার সংসার ভালোভাবে চলছে। আমি জীবনে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। তাই সকল মহিলাদের বলতে চাই জীবনে উত্থান-পতন আসবেই, ভেঙ্গে না পড়ে নিজের পরিচয় গড়ে তুলুন”। অল্প সময়ের মধ্যে ব্যাঙ্গালোরে বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে শিল্পা।