বাংলা টেলি দুনিয়ার অত্যন্ত পরিচিত মুখ ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়। ‘করুণাময়ী রাসমণি’র সারদামণি’, ‘কড়িখেলা’ ধারাবাহিকের মতো একাধিক নামী ধারাবাহিকে কাজ করেছেন। এই মুহূর্তে জি-বাংলার হিট মেগা ‘জগ্দ্ধাত্রী’ তেও পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করছেন অভিনেত্রী। অভিনয়ের পাশাপাশি নিজের ক্যাফেও চালান অভিনেত্রী।
ত্বরিতা চট্টোপাধ্যায়কে দর্শক বেশিরভাগ ধারাবাহিকে পার্শ্ব চরিত্রেই অভিনয় করতে দেখছেন। নায়িকা হওয়ার গুণ থাকা সত্ত্বেও পার্শ্বচরিত্রে কেন? এমনকি অভিনয়ের শুরুটাও খুব একটা সহজ ছিল না তার।
সম্প্রতি জোশ টকের মঞ্চে এসে নিজের মনের কথা সকলের সাথে শেয়ার করলেন ত্বরিতা। নিজের জীবনের স্ট্রাগলের কথাই উঠে আসল অভিনেত্রীর কথায়। উত্তর কলকাতার বনেদি পরিবারে জন্ম তার। অভিনেত্রীর দিদির পর আবারও কন্যা সন্তানের জন্ম সেখান থেকেই শুরু হয় গল্প।
কন্যা সন্তানের জন্ম হওয়ায় পরিবারের মানুষদের থেকে অনেক কোথাও শুনতে হয় অভিনেত্রীর মাকে। এমনকি পরিবারের লোক তার মা, দিদি সহ তাকেও বাড়ি থেকে বেরও করে দিতে চায়। যদিও ত্বরিতার জন্মটা তার বাবাকে বেশ আনন্দই দিয়েছিল। অন্যদিকে তার মাও ছিলেন বেশ লড়াকু। অন্যদিকে অভিনেত্রীর একমাত্র লক্ষ্য ছিল পড়াশুনো। পড়াশোনা চলাকালীন মাত্র ১৮ বছর বয়সেই প্রথম সংবাদ পত্রিকায় ছবি বেরায় আর তাপর থেকেই ম্যাগাজিনে ছবি ও মডেলিং দিয়েই শুরু হয় অভিনেত্রীর পথচলা। এরমাঝেও ছিল পরিবারের লোকজনদের নানা কথা। তার মধ্যে দিয়েই জার্নিটা চালিয়ে যান ত্বরিতা।
জশ টকের দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী জানিয়েছেন, ‘খুব ভালো একটা একটা অফার পেয়েছিলাম। তখন খুব হিট একটা সিরিয়াল। কিন্তু সেটা আমার মা করতে দেয়নি। কারণ বিএসসি ও এমএসসি ডিগ্রি অর্জন করতে হবে এমনটাই দাবি ছিল অভিনেত্রীর মায়ের”।
ডায়েটিসিয়ান পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য একাধিক নায়িকার চরিত্র ছেড়ে দেওয়ায় তার কোনও আক্ষেপ নেই অভিনেত্রীর। শুধু তাই নয়, পর পর পাঁচটা ছবিতে লিড কাস্টে অভিনয় করার সুযোগ পেয়েছিলেন অভিনেত্রী। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত পাঁচটা ছবিই বন্ধ হয়ে যায়। তারপরে টেলিভিশনের পর্দায় কাজ শুরুর পর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি অভিনেত্রীকে।