টলিউডের জনপ্রিয় বর্ষীয়ান অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী। বড়পর্দা থেকে ছোটপর্দা চুটিয়ে কাজ করেছেন। অভিনেতা হিসাবে তিনি জীবনে সফল হলেও তার জীবনে একাধিক আফসোস রয়ে গেছে।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিনেতা শঙ্কর চক্রবর্তী সেই আফসোসের কথাই তুলে ধরলেন। ২০২২ সালে স্ত্রী সোনালি চক্রবর্তী চলে যাওয়ার পর নিঃসঙ্গ হয়ে পড়েন শঙ্কর চক্রবর্তী। অতীতে স্ত্রীর সঙ্গে করা কিছু ব্যবহার নিয়ে তিনি আজও অনুতপ্ত। এই প্রসঙ্গেই অভিনেতা সম্প্রতি দ্য ওয়ালের কাছে মুখ খুলেছেন অভিনেতা।
একসময় ‘দাদার কীর্তি’তে অভিনয় করে বাংলা ছবির দুনিয়া প্রচুর খ্যাতি যশ অর্জন করেন অভিনেত্রী সোনালি চক্রবর্তী। সোনালির সাথে অভিনেতার যখন দেখা হয় সকলে তার স্ত্রীকে ‘দাদার কীর্তি’র নায়িকা চিনতেন।
একদিকে যখন সোনালির অত নাম ডাক সেই সময় মফস্বল থেকে আসা একটি সাধারণ পরিবারের ছেলে শঙ্কর চক্রবর্তী কাছে জামা কেনার মতো টাকা ছিল না। নাচ শিখিয়ে যা টাকা আয় করতেন পুরোটাই অভিনেতার হাতে তুলে দিতেন সোনালি। শঙ্কর চক্রবর্তীর সব খরচ সোনালি চালাতেন একসময়।
তবে সোনালির ক্যারিয়ারে একসময় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন অভিনেতা নিজেই। সোনালির উন্নিতে কোথাও গিয়ে অভিনেতার ইগোতে লেগেছিল।
সম্প্রতি দ্য ওয়ালের কাছে অভিনেতা জানান, ‘একজন তো চলে গিয়েছে আমার দীর্ঘদিনের সঙ্গী। একসময় আমার মনে হয়েছিল ওঁর সংসার করা উচিত, কাজ করা উচিত নয়। এটা আমার খুব ভুল সিদ্ধান্ত ছিল আমার। আমার মেল ইগো থেকে এটা করেছিলাম, যেটা করা উচিত হয়নি। ওঁর কোনও কথা শুনতাম না। ওঁর কথা শুনে আজ অনেক টাকা জমিয়ে ফেলতে পারতাম। একটা সময় ঋণে ডুবে গিয়েছিলাম, নিঃশ্বাস নেওয়ার অবস্থাও ছিল না।’