লকডাউনের কারণে অনেকে চাকরি হারিয়েছেন, কেউ বা মাসের বেতনও পাচ্ছে না। যার দরুন খুব খারাপ পরিস্থিতিতে রয়েছে সাধারণ মানুষ। এমন অবস্থায় সরকারি চাকুরীজীবীরা ঘরে বসে মাইনে পাচ্ছে। বিশেষ করে স্কুল শিক্ষকরা। সোশ্যাল মিডিয়ায় খুললে রাতভোর অভিযোগ উঠে আসে স্কুল শিক্ষক- শিক্ষিকা ঘরে বসে বেতন নিয়ে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় নেটিজেনদের দাবী যখন একাংশ বেতন পাচ্ছে না, তাহলে দেশের শিক্ষক-শিক্ষিকারা কেন বসে বসে মাইনে পাচ্ছে? কারো আবার অভিযোগ তাদের বেতন অর্ধেক করে দেওয়া উচিত এবং সেই টাকায় অসহায় মানুষকে অনুদান দেওয়া দরকার সরকারের। আবার একাংশের দাবি, তাদের দিয়ে এই পরিস্থিতিতে কাজে লাগানো হোক।
তবে এত অভিযোগের মধ্যে অন্যরকম মানবিকতার চিত্র ফুটে উঠল জলপাইগুড়িতে। জলপাইগুড়ি রাজগঞ্জ ব্লকের মান্তাদারি বিএফপি স্কুলের শিক্ষিকা কেয়া সেন গত দেড় বছর ধরে কোনো কাজ না করে বাড়িতে বসে মাইনে পাওয়া একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না। তাই এই পরিস্থিতিতে তিনি এগিয়ে এলেন মানুষের পাশে।
নিজের মাইনের টাকা দিয়ে করোনা রোগীদের জন্য কিছু করার কথা ভাবছিলেন। বড় ছেলে স্পন্দনের সাথে এই বিষয়ে আলোচনা করে সিধান্তে আসেন অ্যাম্বুলেন্স দান করবেন। তবে অ্যাম্বুলেন্সের কিনতে প্রায় ৭ লক্ষ্য টাকারও বেশি। এত টাকা তার হাতে না থাকায় মাসিক কিস্তিতে একটি অ্যাম্বুলেন্স কেনেন এবং জলপাইগুড়ি শহরের ‘শ্রদ্ধা’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাকে দান করলেন মানুষের সুবিধার জন্য। এই মহান কাজ করে নজির গড়লেন স্কুল শিক্ষিকা কেয়া সেন।