জি-বাংলার অন্যতম সফল ধারাবাহিক ‘খেলনা বাড়ি’। যেখানে মুখ্য চরিত্রে মিতুলের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন অভিনেত্রী আরাত্রিকা মাইতি এবং ইন্দ্রর চরিত্রে অভিনয় করেছেন অভিনেতা বিশ্বজিৎ ঘোষ। শুরু থেকেই ধারাবাহিকটি টিভির পর্দায় নজর কেড়েছে। এই ধারাবাহিকে মুখ্য চরিত্রের পাশাপাশি খলনায়ক ও খলনায়িকার গুরুত্বও কিছু কম ছিল না। ধারাবাহিকে ভিলেন রণজিৎ- এর চরিত্রে অভিনয় করেছেন সায়ন্তন সরকার।
গল্পে ইন্দ্র এবং মিতুলের বিরুদ্ধে রণো শুরু থেকেই নানা ষড়যন্ত্র করেছিল, ধারাবাহিকে খলনায়কের ভূমিকায় তার অভিনয় সত্যি প্রশংসার যোগ্য। পর্দায় দর্শকের কাছে সে বিরক্তিকর মনে হলেও রণো চরিত্রকে ফুটিয়ে তোলার জন্য যথেষ্ট প্রশংসা পান সায়ন্তন।
সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে নিজের সম্পর্কে কিছু কথা শেয়ার করেন অভিনেতা। অনস্ক্রিন তাকে সবসময় বদমায়েশি করতে দেখা গেলেও ব্যক্তিগত জীবনে একেবারেই আলাদা স্বভাবের তিনি। বাস্তবে খুবই শান্ত, ভদ্র ও লাজুক স্বভাবের মানুষ তিনি। যার জন্য পর্দায় একেবারে বিপরীত ধর্মী এই চরিত্রটি ফুটিয়ে তোলা তার কাছে বেশ চ্যালেঞ্জিং ছিল।
বিধাননগর মিউনিসিপাল স্কুল থেকে পাশ করে ইংরেজি অনার্স নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হয়েছেন সায়ন্তন। তার পরেই মডেলিং করতে শুরু করেন তিনি। তার প্রথম সিরিয়াল ‘ঠিক যেন লভস্টোরি’ তে নায়কের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন তিনি। সেখান থেকেই এক নামী বিমানসংস্থায় কেবিন ক্রু হিসেবে চাকরিতে নিযুক্ত হন সায়ন্তন। বেশ মোটা অংকের মাইনেও ছিল সেখানে।
প্রায় আড়াই বছর চাকরি করার পর আবারও অভিনয় জগতে ফিরে আসেন অভিনেতা। এরপর ‘টোটাল দাদাগিরি’ সিনেমায় যশ দাশগুপ্তের বন্ধুর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন সায়ন্তন। এখানেই শেষ নয়,‘যমুনা ঢাকি’তেও খলনায়কের চরিত্রে অভিনয় করেন তিনি। তবে দর্শক আজও রণো চরিত্রের জন্যই তাকে চিনছেন।