অ্যাসবেস্টসের ভাড়া বাড়ি থেকে স্বপ্নের বাড়ি! ‘আমাদের সংসার চালাত আমার এক মাসি’, অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুললেন সায়ক চক্রবর্তী

অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীকে

অভিনেতা সায়ক চক্রবর্তীকে আজ চেনেন আট থেকে আশি। একটা সময় ছিল শুধু যারা সিরিয়াল দেখতেন তাদের কাছেই পরিচিতি ছিলেন সায়ক। বর্তমানে আজ বাংলার ঘরে ঘরে মানুষজন তাকে চেনেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেনসেশন হয়ে উঠেছেন তিনি।

সিরিয়াল থেকে ফেসবুকে জনপ্রিয় মুখ সায়ক চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, তার দাদা নামকরা সাংবাদিক। তবে একটা সময় ভাড়া বাড়ি থাকতেন সায়ক। বর্তমানে নিজের কেনা ফ্ল্যাটে থাকেন। এমনকি স্বপ্নের বাড়িও বানাতে চলেছেন অভিনেতা। তবে এই সাফল্যের পিছনে ছিল অনেক পরিশ্রম। একটা সময় তার গোটা পরিবারে খুব কষ্টে জীবন যাপন করেছে।

ইটিভি ভারত সাক্ষাৎকারে নিজের অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করলেন সায়ক চক্রবর্তী। এই সাক্ষাৎকারে সায়ক বলেন, ‘আমি অভিনয় জগতে সবে সবে আসার পরিকল্পনা করেছি ৷ তখন আমাদের সংসার চালাত আমার এক মাসি ৷ তারপর আমার দাদাই প্রথমে চাকরি থেকে আমাদের কিছু টাকা পাঠাতো ৷ সেভাবেই চলছিল ৷ আমরা তখন এখানে ভাড়া বাড়িতে থাকতাম অ্যাসবেস্টসের ঘরে ৷ সেখান থেকে এখন নিজের বাড়িতে থাকি ৷ তখন থেকে তো লাইফ কিছুটা পাল্টে গিয়েছে ৷ তবে আমরা পাল্টে যাইনি ৷ অনেক সময় মানুষ বদলে যায় ৷ বিভিন্ন কিছু লাইফে চেঞ্জ এলে তবে আমাদের বন্ডিংটা খুব ভালোভাবে রয়ে গিয়েছে ৷’

অভিনেতা আরও জানান, ‘সোশ্যাল মিডিয়াতে আমি ২০১৪ থেকেই আছি ৷ ইনস্টাগ্রাম যবে থেকে লঞ্চ হয়েছে তার কিছুদিন পর থেকেই আমি ইনস্টা করতে শুরু করেছি ৷ কিন্তু লকডাউনের পরে কী করবো বাড়িতে বসে কিছু নেই ৷ সোশাল মিডিয়েতে দেখছি ডালগোনা কফি বানাচ্ছে লোকজন আমিও দেখে শুরু করলাম বানানো ৷ সেখান থেকেই জার্নি শুরু ৷ আমি দেখলাম আমার কথা মানুষ পছন্দ করতে শুরু করলো ৷ তারপর কয়েটা ভিডিয়োতে দেখলাম ভালো ভিউ ও ভালো ভালো কমেন্ট পাচ্ছিলাম ৷ তারপর একটার পর একটা ভিডিয়ো করতে শুরু করি ৷ তখন বেশি ইউটিউবে করতাম ফেসবুকে নয় ৷ ফেসবুকে ভ্লগ করা শুরু করি অনেক পরে ৷ আজ থেকে দুই বছর আগে থেকে ভ্লগ দেওয়া শুরু করি ফেসবুকে ৷ তারআগে ইউটিউবে খুব ভালো সাড়া পেয়েছি ৷’

সুত্রঃ www . etvbharat . com