ডোনার বাড়ির সামনে ব্যাডমিন্টন খেলতেন সৌরভ! এক পাড়ায় বাড়ি, সৌরভ-ডোনার প্রেম কাহিনী ঠিক যেন সিনেমার গল্প

সৌরভ-ডোনা

সাদা-কালো যুগের প্রেম কাহিনীগুলো বেশ রঙিন ছিল। ছিল না স্মার্ট ফোন, ইন্টারনেট। ল্যান্ডফোনেই জমে উঠত প্রেমের গল্প। এইরকম এক প্রেম কাহিনী ছিল মহারাজ আর ডোনার। তাদের প্রেম কাহিনী হার মানাবে সিনেমার গল্প কে।

সৌরভ-ডোনা

এই গল্প ছিল বেহালার এক পাড়ার। একই পাড়ায় পাশাপাশি বাড়ি ছিল সৌরভ আর ডোনার। এই বাড়ি থেকে কথা বললে যেন শোনা যেত ঐ বাড়িতে। ব্যাপারটা কিছুটা এমনি ছিল।

সৌরভ-ডোনা

বাইশ গজে ক্রিকেটের সৌরভ তখন ডোনার বাড়ির সামনে খেলতেন ব্যাডমিন্টন। ঠিক সেই সময় বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতেন ডোনা। চোখের ইশারায় চলত প্রেম আদান-প্রদান। মাঝেমধ্যে ডোনাকে দেখে নিজের কলাটকে তুলে হাসি দিতেন। শুধু সৌরভ গাঙ্গুলি নয়, ডোনাও কম নয়। মাঠে যতক্ষণ মহারাজ খেলতেন, ততক্ষণ সেখান থেকে সরতেন না। এইভাবেই শুরু হয় তাদের প্রেম কাহিনী।

সৌরভ-ডোনা

কৈশোর গণ্ডি পেরিয়ে তারুণ্যে, তখন তারা ইতিমধ্যে মন দিয়ে ফেলেছেন একে অপরের। তখন সৌরভ হয়ে উঠেছিলেন  ‘প্রিন্স অব ক্যালকাটা’। লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করে ব্যালকনিতে জার্সি খুলে উদযাপন সেরে ফেলেছিলেন। সেই সময় ডোনাকে কলকাতার এক নামী রেস্টুরেন্টে প্রথম ডেটে নিয়ে যান মহারাজ। কিন্তু ভয়ে ছিলেন দাদা। কারণ ডোনার বাবার সাথে গাঙ্গুলি পরিবারের সম্পর্ক একেবারেই মধুর ছিল না।

সৌরভ-ডোনা

পরিবারের দ্বন্দ্ব থাকার কারণে সৌরভ ভেবেছিলেন ডোনার সাথে রেজিস্ট্রি সারবেন গোপনে কিন্তু তখন দাদা তারকা, তাই যতই লুকিয়ে রাখুক সাংবাদিকদের খাতায় একবার খবর গেলে গোটা ভারত জানবে। তাই সিদ্ধান্ত পাল্টে দাদা তার বাবাকে সাহস করেই সবটা বলে ফেলেন। কিন্তু সৌরভ গাঙ্গুলির বাবা চন্ডিদাশ গাঙ্গুলি বলেছিলেন, “তুমি ক্রিকেটে মন দাও, ওই দিকটা আমায় ভাবতে দাও”।

সৌরভ-ডোনা

এরপর মহারাজের বাবাই পুরো ব্যাপারটা সামলান। দুই পরিবারকে রাজী করিয়ে ১৯৯৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ধুমধাম করে বিয়ে দেন সৌরভ-ডোনার। বিয়ের এত বছর পরও তাদের ভালোবাসায় একটুও কমেনি তাদের মধ্যে।

সৌরভ-ডোনা

Leave A Reply

Please enter your comment!
Please enter your name here