অভিনেতা সাগ্নিক চ্যাটার্জী ও স্ত্রী শম্পা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিচ্ছেদের খবর অনেকেরই জানা। স্ত্রী শম্পা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরেই সাগ্নিকের সঙ্গে তার স্ত্রীয়ের বিচ্ছেদ হয় ২০০৪ সালে। আইনি বিচ্ছেদের জন্য আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হয় অভিনেতাকে।
বিয়ের দশ বছর পর অভিনেতা জানতে পারেন তার স্ত্রীর পরকীয়া চলছে। এই প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে সাগ্নিক জানিয়েছিলেন, স্ত্রী শম্পাকে সে ডিভোর্স দিলেও ছেলে মেয়ে কিন্তু তার কাছেই থাকবে। সেই সময় মা হয়েও সন্তানদের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করেছিলেন শম্পা। আর সেদিন থেকেই নিজেকে যোগ্য বাবা হিসাবে প্রমান করাটা তার কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
শম্পা চ্যালেঞ্জ করেছিলেন সাগ্নিক নাকি পারবেন না ছেলেমেয়ে মানুষ করতে। সেইসময় কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে প্রাক্তন স্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছিলেন সাগ্নিক। একা হাতে সন্তানদের বড় করেছেন সাগ্নিক।
অবশেষে ২০১৮ সালে মেয়ে জার্মানিতে পিএইচডি’র সুযোগ পেলে মেয়ে নিজেই তার মাকে বাবার হয়ে জবাবটা দিয়েছিল এমনটাই জানান অভিনেতা। সাগ্নিকের কথায়, “সেদিন ফোন করে মেয়ের সঙ্গে প্রাক্তন স্ত্রীর কথা বলিয়েছিলাম। একদিন আমাকে বলেছিল যে, আমি মানুষ করতে পারব না আর সেদিন মেয়ে আমার হয়ে উত্তরটা দিয়ে দিয়েছে। আমি শুধু তাঁকে একটা কথাই বলেছিলাম, এবার খুশি তো?” মেয়ের প্রতি গর্ব চোখে এনেছিল অভিনেতার।