অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী কাছে কলকাতা মানেই ছোটবেলার স্মৃতিতে ভরা। নিউমার্কেটে বাজার, ভিক্টোরিয়া, ফোর্ট উইলিময়াম, উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতা এবং কলকাতার বনেদি বাড়ির দুর্গাপূজা সব কিছু যেন শৈশবের স্মৃতির ভাণ্ডার।
ঋতাভরী চক্রবর্তীর নিজস্ব মুম্বাই শহরে বাড়ি থাকায় সত্ত্বেও ছুটির দিনগুলি কাটায় কলকাতার বাড়িতে। অভিনেত্রী কথায় কলকাতার আলাদা তৃপ্তি রয়েছে যা অন্য কোনও শহরে পাওয়া যায় না। অভিনেত্রীর কাছে মুম্বাই যেন খুব শুষ্ক লাগে।
কলকাতার বাইরে থাকলে ঋতাভরী চক্রবর্তী সবচেয়ে বেসি মিস করেন কলকাতার খাবার। বারবি কিউয়ে ডিনার থেকে রাস্তার লেবু চা ও ফুচকা যার স্বাদ অন্য কোথাও খুঁজেই পান না তিনি।
ফুটপাতে দাঁড়িয়ে থাকলে অভিনেত্রী ফুটপাতে দাঁড়িয়ে স্ট্রিট ফুড খান। ভিড়ের মধ্যে রাস্তায় দাঁড়িয়ে খাবারের স্বাদ নেওয়ার সুখ বলে বোঝানোর মতন নয়।
অভিনেত্রীর কাছে তার কলকাতা সবচেয়ে নিরাপদ স্থান, যা দেশের অন্য শহরে অনুভব করেন না। দেশের অন্য শহরে বাংলা ভাষা দেখলে তার গর্ব বোধ হয়। কারন তার সবচেয়ে বেসি পছন্দের ভাষা বাংলা। তার কথায়, মিষ্টি ভাষা।
View this post on Instagram
কলকাতা অর্থনৈতিক দিক থেকে বাকি শহরের থেকে পিছিয়ে আছে ঠিকই তবে তার অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী অন্যান্য দিক থেকে আমাদের কলকাতা অনেক এগিয়ে।
ছোটবেলায় তিনি মায়ের হাত ধরে কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতেন। একসময় অভিনেত্রীর হাতে ছিল মাত্র ১০০ টাকা যা দিয়ে তিনি পুরো নন্দন চত্বরে ঘুরতেন। সেই স্মৃতি অভিনেত্রীর জীবনে আজও টাটকা রয়েছে। সেই ১০০ টাকায় তিনি কানের দুল কিনেছিলেন এবং আইসক্রিম খেয়েছিলেন।
অভিনেত্রী ঋতাভরী চক্রবর্তী বই প্রেমী। তিনি বই পড়তে খুব ভালোবাসেন। আর তার স্বাদ তিনি শহরের একমাত্র খুঁজে পান কলেজ স্ট্রিট। তার কথায়, কলকাতা এক প্রানবন্ত শহর, কলকাতা এক নস্ট্যালজিয়া, কলকাতা বই পড়ে, কলকাতা মানেই প্রেমের শহর যা অন্যান্য উচ্চ অর্থনৈতিক শহরের চেয়ে হাজার গুন এগিয়ে।