সারেগামাপা থেকে বাদ পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় লম্বা পোস্ট রথীজিৎ ভট্টাচার্যের ছাত্রী তৃষার

সারেগামাপা

জি-বাংলার অন্যতম নন ফিকশন শো সারেগামাপা। বাংলার নানা প্রান্ত থেকে আসা সঙ্গীতশিল্পীদের গানে জমে উঠেছে শোয়ের প্রতিটা এপিসোড। তবে এর আগে টাকা নিয়ে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল এই শো-এর বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, শো-এর নামে স্বজনপোষণের অভিযোগও করে থাকেন অনেকে।

তবে এবারের গল্পটা একটু আলাদা। কথা হচ্ছে রথীজিৎ ভট্টাচার্যের ছাত্রী দুর্গানগরের তৃষা কে নিয়ে। এরআগে সারেগামাপা-র মঞ্চে বেশ কয়েকটি সিজনে কোরাস গেয়েছে তৃষা। তবে এবার সারেগামাপা-র সেরা ৩০-এ নির্বাচিত হয়ে মূল মঞ্চে পৌঁছাতে পেরেছিল সে।

মূল পর্বে, রহনা হ্যায় তেরে দিলমে ছবির ‘জরা জরা’ গানটি গাওয়াতে বিচারক ইন্দ্রদীপ দাশগুপ্ত বাংলা গান গাওয়ার নির্দেশ দেন তৃষা কে। সেই মতো ‘তুমি কত যে দূরে’ গেয়ে শোনান তৃষা। তবে দুর্ভাগ্যক্রমে তার গান মন ভরাতে পারেনি চার বিচারক জুটির। সারেগামাপা-র মঞ্চ থেকে বিদায় নিতে হয় তৃষা কে।

মূল পর্ব থেকে বাদ পড়তেই ফেসবুকের পাতায় লম্বা পোস্ট তৃষার। পোস্টে লেখা, “গ্র্যান্ড অডিশন থেকে এলিমিনেট হয়েছি তাতে কষ্ট পাইনি বললে ভুল হবে। অনেক কষ্ট পেয়ছি, তবে তার থেকেও বেশি মোটিভেশন আর সাহস পেয়েছি আরও আগে এগিয়ে যাওয়ার। আমি অডিশনের দিন আরও একটা গান গেয়েছিলাম, জরা জরা, রহনা হ্যায় তেরে দিলমে ছবির। সেটা কোনও কারণে টিভিতে দেখানো হয়নি। আমি কাউকে দোষ দিতে আসিনি। আমি সেই দলে না যারা সিলেকশন না হলে শো-এর আর চ্যানেলের নামে বদনাম করে নিজেদের ভালো প্রমাণ করবে। এই স্টেজ আর এই শো আমার পরিবার। এর থেকে আমি কতো কিছু পেয়েছি এবং কত কিছু শিখেছি সেটা আমি কখনও ভুলে যাব না”।

সারেগামাপা

এছাড়াও তৃষা লেখেন, ‘হাজার হাজার প্রতিযোগির মধ্যে ৫টা অডিশন পার করে সেরা ৩০-এ যেতে পেরেছি। এত গুণী গ্রুমার থেকে কত কিছু শিখেছি। সামনে ৮ জন গুণী বিচারক ছিলেন, তাঁদের সামনে আমার গান শোনাতে পেরেছি। এগুলো আমার কাছে অনেকটা পাওয়া। আমার জন্য সবার চেয়ে বেশি জরুরি আমার গুরু রথীজিৎ ভট্টচার্য এবং গুরু মা শ্রেয়া ভট্টাচার্যের আর্শীবাদ। হয়ত ওটা খারাপ দিন ছিল। আমি আরও শক্তিশালী হয়ে ফিরব’।