আমরা সকলেই কমবেশি ভুতের গল্প শুনেছি, তবে ভুত দেখার মত সাহস কতজনের মধ্যে থাকে। ঠিক তেমনই ভুত দেখার অভিজ্ঞতা অর্জন করলেন অভিনেতা রাজা গোস্বামী। বারুইপুর রাজবাড়িতে চলছিল ‘কোজাগরী’ ধারাবাহিকের শুটিং। আর রাজবাড়ির ফটক পেরিয়ে পিছনের দিকে পরপর কয়েকটা ঘর নেওয়া হয়েছিল অভিনেতা-অভিনেত্রীদের মেকআপ রুম ও বিশ্রামের জন্য।
রাজবাড়ির সেই চত্বরেই ছিল একটা ফাঁকা বাড়ি। আর সেখানেই নাকি ভুত দেখা যায়। একথা জানার পর থেকে ভুত দেখার কৌতুহল জাগে রাজার মনে। আর সেই কারনেই ফাঁকা বারিতে ভুত পরিদর্শন করতে বেরিয়ে পড়েন রাজা। সিঁড়ি দিয়ে উঠেই একটা ল্যান্ডিং সিঁড়ি। রাজা জানান, বেশ পরিষ্কার ও শক্তপোক্ত সিঁড়ি। দোতলা পেরিয়ে উঠতেই ঘুটঘুটে অন্ধকার। অন্ধকারেই কোনো মতে একটি করিডরে পৌছায় রাজা।
হঠাৎ চোখে পড়ে একটা আধখোলা দরজা। উল্টো দিকে একটা জানলা দিয়ে অল্প আলো আসছিল। সেই আলোতেই রাজার চোখে পরে একটা সেকেলের নকশা করা পালঙ্ক। এরপর যখনই নিচে নামার জন্য এগিয়ে আসতে থাকে রাজা আচমকাই দরজার ফাঁকে অন্ধকার ঘরের কোণে একটা ছায়া। ঠিক যেন একটা বাচ্চা দাঁড়িয়ে আছে। তাও আবার তার দিকে মুখ করে। আর তা দেখেই এক প্রকার ভয় পেয়েই সেখান থেকে চলে আসেন রাজা। পরে ধারাবাহিকের কলাকূশলীদের মুখে জানতে পেরেছিলেন সত্যিই সেই ফাঁকা বাড়িতে বাচ্চা ভুত আছে।