শুটিংয়ের ব্যস্ততা, নিজের ব্যবসা সবকিছু সামলে একাই হাতে নিজের ছেলেকে মানুষ করছেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছেলে রৌনকের সাথে আলাদা থাকেন অভিনেত্রী। বাকি পাঁচটা মায়েদের মতোই সারাক্ষণ ছেলেকে নিয়ে চিন্তা করেন, তাড়াতাড়ি শুটিং সেরে বাড়ি ফিরে যান ছেলেকে পড়ানোর জন্য। এত যত্নের পরও ছেলেকে নিয়ে বেজায় চিন্তিত অভিনেত্রী।
কিছুদিন আগে অভিনেত্রী সুদীপা চট্টোপাধ্যায় ‘দিদি নং ১’-এ এসেছিলেন খেলতে। আর সেখানে এসেই রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় যে আদর্শ মা তার প্রমাণ দেয়। সুদীপা জানান, “রচনা আর তাঁর মেকআপ রুম ছিল পাশাপাশি। দেখতেন রচনার মেকআপ রুমে ঝোলানো থাকে বোরখা। অভিনেত্রী জানতে চাওয়া রচনা তাকে বলেন সেট থেকে বোরখা পরে সোজা মেট্রো স্টেশনে যান তিনি। এরপর কালীঘাট স্টেশনে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে। সেটা চড়ে বাড়ি ফেরেন যাতে তাড়াতাড়ি গিয়ে ছেলেকে পড়তে বসাতে পারেন।
সুদীপা আরও বলেন, “আমি বাড়ি ফিরে সেদিন রচনাদিকে ম্যাসেজ করেছিলাম আমায় শীর্বাদ করো যেন তোমার মাতৃত্বের ৫০ শতাংশ আমি পাই।’ উত্তরে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘এখন যুগ বদলে গেছে। আমি খুব ভয়ে ভয়ে পা ফেলি। আমি আমার বাবার থেকে সব কাজ পারমিশন নিয়ে করতাম। বাবা মারা যাওয়ার দু বছর আগে অবধিও তাই ছিল। আমি যেহেতু এভাবে মানুষ তাই আমার মেনে নিতে কষ্ট হয় যে আমাকে আমার ছেলে মুখের উপর জবাব দেবে। এমন নয় ও খারাপ। পরিবেশই সেরকম। নিজেদের দুনিয়ায় খুব ব্যস্ত। সব শুনছে। করছে সেটাই যেটা ও ভাবছে। এই সময়টা খুব কঠিন। নিজেকে বদলাতে হবে। ওদের মতো করে নিজেদের বদলে নিতে হবে এই সময়। ওদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হবে তোমাকে।’
আসলে বড় হচ্ছে রৌনক। আজকালকার ছেলেরা নিজেদের যা ইচ্ছে তাই করে, তাই নিয়েই চিন্তিত থাকেন অভিনেত্রী। তবে শত ব্যস্ততার মাঝেও নিজের ছেলেকে সময় দেন, রৌনক নিয়ে মাঝেমধ্যে বেরিয়ে পড়েন ঘুরতে।