কেদারনাথ মন্দিরে পূজার সময়

কেদারনাথ মন্দিরে পূজার সময়

কেদারনাথ মন্দির শুধু প্রসিদ্ধ তীর্থস্থানই নয়, এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বহু পৌরাণিক কাহিনি ও অজানা রহস্য। পুরাণ মতে জানা যায়, কুরুক্ষেত্র যুদ্ধ শেষ হওয়ার পর মহাভারতে জ্ঞাতি হত্যার পাপ থেকে মুক্তি পেতে পান্ডবগন তীর্থ দর্শন করতে বেরিয়ে পৌঁছেছিলেন। সেই সময় তারা কাশীতে এসে জানতে পারেন ভগবান শিব তাঁদের দর্শন না দেওয়ার জন্য ষাঁড়ের ছদ্মবেশে পাহাড়ের কোলে আত্মগোপন করেছেন। এরপর থেকে কেদারনাথে বৃষের পিঠের কুঁজকেই জ্যোতির্লিঙ্গ হিসাবেই পুজো করা হয়।

প্রতি বছর লক্ষ লক্ষ ভক্ত আসেন কেদার বাবার দর্শন পেতে। প্রতিদিন আচার নিয়ম মেনেই মহাদেবের পূজা করেন মন্দিরের পূজারীরা। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কেদারনাথ মন্দিরে কোন সময়ে কি কি পূজা হয় সেই বিষয়ে।

খুব ভোর থেকেই শুরু হয় মন্দিরের নিত্য পূজা। ভোর ৪ টের সময় হয় বাবার মহা অভিষেক, যেখানে কেদারনাথের মূর্তিকে জল, দুধ, দই, মধু এবং ঘি দিয়ে স্নান করানো হয়।

রুদ্রাভিষেকের পরই শুরু হয় ভোগ আরতি। যেখানে কেদার বাবাকে ভোগ অর্পণ করা হয়। এরপর দুপুর ৩ টে থেকে বিকেল ৫ টা পর্যন্ত মন্দিরের দরজা বন্ধ রাখা হয়। বিকেল ৫ টার পর থেকে রাত্রি সাড়ে ৮ টা পর্যন্ত আবারও মন্দিরের দরজা খুলে দেওয়া হয় দর্শনের জন্য। তবে সারারাত বাইরের দরজা দিয়ে দর্শনার্থীদের জন্য মন্দির খোলা রাখা হয়।

সন্ধ্যায় শুরু হয় মহা আরতি। অগণিত তেলের প্রদীপ জ্বালিয়ে বাবার সন্ধ্যা আরতি সম্পন্ন করা হয়। সন্ধ্যায় শিব সহস্রনাম পাঠ করা হয়, অর্থাৎ মহাদেবের ১০০৮ নাম পাঠ করা হয় এই সময়ে। শিব মহিমাস্ত্রোত্র পাঠ ও শিব থান্ডবস্ত্রোত্র পাঠ করা হয় যা মহাবেদের মাহাত্ম্য বর্ণনা করে। শেষে শয়ন আরতি দিয়ে মন্দির বন্ধ করা হয়।