বহুদিন বাদে আগের ছন্দে ফিরছে স্টার জলসার ‘অনুরাগের ছোঁয়া’। তবে ধারাবাহিক ঘিরে দর্শকের মনে খারাপ লাগা এখনো রয়েছে। কারণ সূর্য-দীপা মিলের আর কোনও আভাস নেই। তবে অধিকাংশ দর্শক অর্জুন দীপার রসায়ন মনে ধরছে ধীরে ধীরে।
যারা ধারাবাহিকটি দেখেন তারা জানেন, ভিক্টরের হাত থেকে বাঁচাতে তিস্তা পালিয়ে অর্জুনদের বাড়ি চলে আসে। কিন্তু তিস্তার মাকে সঙ্গে করে সেখানে চলে আসে ভিক্টর। সোনা রুপা তিস্তার লেখা চিঠিটা পেয়ে অর্জুন আর দীপাকে দেখায়। তিস্তা কথা জানতে পেরে দীপা আর অর্জুন ছুটে যায় ভিক্টরের বাড়িতে।
আজকের পর্বে দেখা যাবে, বাড়িতে এসেই ভিক্টর তিস্তার উপর অত্যাচার করা শুরু করে, তিস্তা বাঁচার জন্য ছটফট করতে থাকে। অর্জুন তিস্তার বাড়ির সকলকে ভিক্টরের বাড়িতে আসতে বলে। ভিক্টর পকেট থেকে ছুরি বের করে তিস্তাকে মারার জন্য। আর ঠিক সেই সময় সেখানে চলে আসে দীপা-অর্জুন। তিস্তাকে বাঁচিয়ে ভিক্টরকে মারধর করে অর্জুন। সেখানে চলে আসে পৃথাও। অর্জুন বলে সে আজ ভিক্টরকে মেরেই ফেলবে। ভিক্টরকে বাঁচাতে পৃথা বলে দেয়, অর্জুন তার ছেলে আর ভিক্টর অর্জুনের ভাই। সকলে অবাক হয়ে যায় পৃথার কথা শুনে।
ভিক্টরকে জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। ভিক্টরের সঙ্গে পৃথা জেলে করতে যায়। পৃথা বলে, ‘তোমায় আর কিছুদিন এখানে থাকতে হবে ততদিনে অর্জুনের কাছকাছি পৌঁছে যাবে সে’। ভিক্টর তার মাকে বলে, সে তার ছোট ছেলে। এভাবে তাকে রেখে যেতে পারে না। ভিক্টরকে পৃথা মনে করিয়ে দেয়, ‘তিনজন কোলের শিশুকে ফেলে রেখে চলে এসেছে সে আর ভিক্টর তো প্রাপ্তবয়স্ক।” এদিকে পৃথার তার মা জেনে কষ্ট পায় অর্জুন। সে পৃথাকে জানিয়ে দেয় সে কোনদিন তাকে মা ভাবতে পারবে না।