জিৎ-যীশু অভিনীত সেই ‘প্রেমী’ ছবি আজও বাঙালির মনের মণিকোঠায়। ‘প্রেমী’ ছবির সেই দুই নায়ক আজ টলিউডের স্টার হলেও সেই মিষ্টি নায়িকা চন্দনা আজ খবরের বাইরে। কেন আজও অন্তরালে এই অভিনেত্রী।
জানেন কি ‘প্রেমী’ ছবির সেই মিষ্টি নায়িকাই যীশু সেনগুপ্তের শ্যালিকা। হ্যাঁ যীশু সেনগুপ্তের স্ত্রী নীলাঞ্জনা আর চন্দনা দুই বোন। তারা দুইজনেই স্বর্ণযুগের নায়িকা অঞ্জনা ভৌমিকের কন্যা। উত্তম কুমারের যুগে উত্তম নায়িকা নতুন মুখ নিয়ে এসেছিলেন অঞ্জনা ভৌমিক। অভিনেত্রী অঞ্জনা ভৌমিক তার অভিনয় জীবনে চূড়ান্ত সাফল্য পেয়েছিলেন।
মায়ের পর দুই কন্যা চন্দনা এবং নীলাঞ্জনা অভিনয় জগতে প্রবেশ করে। যীশু স্ত্রী নীলাঞ্জনার অভিনয় জগতে প্রথম ডেবিউ করেন বাংলা ছবি ‘স্বপ্নের ফেরিওয়ালা’র হাত ধরে। খুব অল্প বয়সেই যীশু সেনগুপ্তকে বিয়ে করে ফেলেন নীলাঞ্জনা। গ্ল্যামার জগতে নীলাঞ্জনা থেকে বেশি সাফল্য অর্জন করছিল তার বোন চন্দনা।
‘প্রেমী’ ছবি নায়িকা চন্দনা একসময় তেল-সাবানের বিজ্ঞাপনের পরিচিত মুখ ছিল। সোনি টিভিতে ‘জাস্ট মোহব্বতে’ সিরিয়ালের হাত ধরে অভিনয় জগতে প্রবেশ করেন। প্রথম ধারাবাহিকে বিশাল সাফল্য অর্জন করেন। নিজের মায়ের জন্য নয় বরং নিজের প্রতিভায় সে ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করে।
‘ইয়ে দিল চাহে মোর’, ‘দিল হ্যায় কি মানতা নাহি’, ‘ওম শান্তি ওম’, ‘লাভ নে মিলা দি জোড়ি’তে অভিনয় করেছেন চন্দনা। এরপর হিন্দি ছেড়ে রবি কিনাগি’র ‘প্রেমী’ ছবি দিয়ে প্রথম বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে প্রবেশ করেন। তার বিপরীতে ছিলেন দুই নায়ক জিৎ এবং তার জামাইবাবু যীশু। এই ছবি বক্স অফিসে সুপার হিট হয়েছিল। ছবির গান আর মিষ্টি নায়িকার অভিনয় দর্শকের মন জিতে নিয়েছিল।
‘প্রেমী’ ছবি সাফল্য অর্জন করলেও সেই মিষ্টি মেয়েটিকে আর দেখা যায়নি ইন্ডাস্ট্রিতে। চন্দনার দিদি নীলাঞ্জনা অনেক বাংলা ছবি করলেও চন্দনা চলে গিয়েছিলেন অন্তরালে। কলকাতা ছেড়ে চলে যান মুম্বাইয়ে। কলকাতায় তার মন বসেনি। এরপরই শোনা যায় চন্দনা শর্মা বিয়ে করেন মুম্বাইয়ের পরিচালক রমণদীপ আর্যকে।
বিয়ের পর অভিনয় জগত থেকে দূরে সরে যান অভিনেত্রী। ক্যারিয়ারে সাফল্য পাওয়া সত্ত্বেও সংসার জীবন বেছে নিয়েছেন তিনি। বর্তমানে তার একটি ছেলেও আছে। মাঝে মধ্যেই স-পরিবারে আসেন কলকাতায় দিদির বাড়িতে।
View this post on Instagram