বর্তমানে আট থেকে আশি সারাদিনের ক্লান্তি কাটাতে ডুব দেন বাংলা সিরিয়ালের দিকে। সিরিয়ালপ্রেমীদের কাছে বাংলা সিরিয়াল মানেই স্টার জলসা আর জি-বাংলার। এই দুই চ্যানেল বাদেও যে বেশ কিছু বাংলা সিরিয়াল চ্যানেল আছে তা হয়তো খেয়ালি থাকে না দর্শকের। আর সেই সমস্ত চ্যানেলের দর্শকের সংখ্যা হাতে গোনা।
তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে, জি-স্টার এর জনপ্রিয় নায়ক-নায়িকারা প্রধান সারির চ্যানেলের হাত ছেড়ে কাজ করছেন কম জনপ্রিয় চ্যানেলগুলিতে? কিন্তু কেন? নেপথ্যে কি ধারাবাহিকের গল্প?
ইতিমধ্যে সান বাংলা থেকে কালার্স বাংলায় করছেন বেশ কিছু প্রধান সারির চ্যানেলের নায়িকারা। উদাহরণ স্বরূপ অভিনেত্রী দেবাদৃতা বসু, রুকমা রায়, অর্কজা আচার্য, নবনীতা দাস, অভিনেত্রী টুম্পা ঘোষ, মাফিন চক্রবর্তী, শ্রেয়সী রায় সহ আরও অনেকে। এমন কিছু জনপ্রিয় অভিনেত্রীরা রয়েছেন যারা এখন শুধু সান বাংলা, কালার্স বাংলায় কাজ করছেন।
এই সব চ্যানেলে দর্শক কম হলেও সিরিয়ালের গল্প খুবই সুন্দর। টিআরপির লোভে গল্পে মাঝপথে আজগুবি দৃশ্য দেখানো হয়না অথবা তাড়াহুড়ো করে ধারাবাহিক বন্ধ করে দেওয়া হয় না। অধিকাংশ দর্শকের মতে স্টার-জি বাংলার সিরিয়াল থেকে ঢের গুণ ভালো সান বাংলা এবং কালার্স বাংলার ধারাবাহিকগুলি।
যেকোনো ধারাবাহিকের ক্ষেত্রে নায়ক এবং নায়িকারা শুধুমাত্র তাদের অভিনয়টা ফুটিয়ে তোলেন। ধারাবাহিকের গল্প কোনদিকে এগবে নাকি ধারাবাহিকের গল্প পরকীয়া ট্র্যাক আনা হবে তা নির্ভর করে নির্মাতাদের উপর। একজন অভিনেত্রীর এই বিষয়ে কিছু করার থাকে না। জি-স্টার চ্যানেলের ধারাবাহিকের টিআরপি শেষ কথা। তাই টিআরপি জন্য মাঝপথে ধারাবাহিকগুলিকে অন্য ট্র্যাকে নিয়ে যাওয়া হয় মূল ট্র্যাক থেকে।
ভালো গল্পের জন্যই কি দেবাদৃতা থেকে রুকমার মতো অভিনেত্রীরা বেছে নিচ্ছেন সেই সব চ্যানেল কে? বেশ কিছু অভিনেত্রী আগেই বহু সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, “তাদের চ্যানেল নিয়ে কোনও ছুৎমার্গ নেই। একজন শিল্পী হিসাবে ভালো কোনও মানানসই চরিত্রের সুযোগ পেলে তারা রাজী”।