গাড়ি দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত বাংলা সিরিয়াল ‘ফুলকি’ ধারাবাহিকের নায়িকা দিব্যাণী মন্ডল। জন্মাষ্টমীর আগে দিন ঘটনাটি ঘটে। অনেকেই জানেন ছোটপর্দার ফুলকি বাস্তবে কৃষ্ণভক্ত। জন্মাষ্টমীর উপলক্ষে নিজের বাড়ি মুর্শিদাবাদে যাচ্ছিলেন অভিনেত্রী।
গাড়ি সংস্থা থেকে একটি গাড়ি বুক করেছিলেন দিব্যানি। গাড়িতে সঙ্গে তার কিছু বান্ধবী ছিল। সেই সময়েই দুর্ঘটনার কবলে পড়েন অভিনেত্রী। নৈহাটির কাছাকাছি একটি জায়গায় ঘটনাটি ঘটে। চালক ঘুমিয়ে পড়ায় এই দুর্ঘটনা। এখন কেমন আছেন ফুলকি?
জানা যাচ্ছে, মাথায় বেশ ভালই আঘাত পেয়েছেন। চিকিৎসক সিটি স্ক্যান করার পরামর্শ দিয়েছেন। নৈহাটি থেকে আবার কলকাতায় ফিরে এসেছেন তিনি।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে দিব্যাণী জানান, ‘আমরা ভোরবেলা গাড়িতে উঠেছিলাম। শুটিং করে ক্লান্ত ছিলাম বলে ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। আমার বাকি বন্ধুরাও ঘুমাচ্ছিল। শুধু একজনই জেগে ছিল। গাড়িচালক কাকুকে কিন্তু আমরা বলেছিলাম, একটানা গাড়ি চালাবেন না। মাঝ রাস্তায় একটু চা খাব সবাই। নাহলে ঘুম পেতে পারে। উনি আশ্বস্ত করেছিলেন, ঘুম পাবে না। আমাদের ভালভাবে পৌঁছে দেবেন। কিন্তু, উনি তন্দ্রাচ্ছন্ন হয়ে পড়েন। সামনে একটা মিনি ট্রাকের সঙ্গে জোরে ধাক্কা মারেন। আমরা কিছুই টের পাইনি। যখন ঘটনাটা ঘটল আমরা সকলেই ঘুমের মধ্যে।’
অভিনেত্রী আরও জানায়, ‘আমাদের জীবনে অ্যাঞ্জলের মতো এসেছেন এক চিকিৎসক আঙ্কেল। আমাদের পিছনের গাড়িতেই ছিলেন। সঙ্গে ওঁর স্ত্রীও ছিলেন। আমাদের যত্নসহকারে আগলে রেখেছিলেন। মা-বাবা খবর পেয়ে আমাকে কৃষ্ণনগর থেকে নিয়ে গিয়েছে। এক বন্ধুর পায়ে খুব লেগেছে। আর মাথার পিছনে লেগেছে, কেটেও গিয়েছে। ডক্টের আঙ্কেল সিটি স্ক্যান করিয়েছেন। আদ রিপোর্টটা পেলে বুঝতে পারব। ঘাড় থেকে মাথা পর্যন্ত প্রচণ্ড ব্যথা। কাল বাড়ি এসে ওষুধ খেয়ে বিশ্রাম নিয়েছি। কৃষ্ণ ঠাকুরের কাছে আসছিলাম বলেই হয়ত বড় বিপদের হাত থেকে রক্ষা পেলাম। গাড়ির অবস্থা দেখলে বোঝা যাবে কতটা বড় মাপের দুর্ঘটনার হাত থেকে আমরা প্রাণে বেঁচেছি। চালকের পাশের সিটে যে ছিল ওঁর কিছু হয়নি। অল্পের উপর দিয়েই বিষয়টা ঘটেছে। কলকাতা গিয়ে ওি ডক্টর আঙ্কেল-ঐন্টির সঙ্গে দেখা করব।’