প্রথমে পল্লবী, তারপর বিদিশা, মঞ্জুষা- পরপর তিনজনের আত্মহত্যা নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা টলিউডকে। এদের তিনজনের বয়স ২১ থেকে বড়জোর ২৫-এর মধ্যে। এত কম বয়সে নিজেদের জীবন শেষ করে দিয়েছেন এই টলি অভিনেত্রী মডেল। লাইফ পার্টনার থেকে মানসিক অবসাদে জর্জরিত আজকের জেনারেশনের ছেলেমেয়েরা। তিন অভিনেত্রী আকস্মিক মৃত্যু নিয়ে এবার মুখ খুললেন ‘দিদি নং’-এর সঞ্চালিকা অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি। শেয়ার করলেন নিজের ছেলের কথাও।
অভিনেত্রী রচনা ব্যানার্জি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে জানান, “যারা নিজেরাই চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁদের জন্য নয় বরং কষ্ট হয় তাঁদের বাবা-মায়ের জন্য। আজকের জেনারেশন ছেলেমেয়েরা যা চায়, তা খুব সহজেই পেয়ে যায় তাই তারা জীবনের মূল্য দিতে শেখেনি”।
অভিনেত্রীর মতামত, “এই প্রজন্মের ছেলেমেয়েরা বাবা-মায়ের কথা শোনা না। তাঁদের কাছে বাবা-মা শত্রু আর বন্ধুরাই আসল। তারা বোঝে না টাকা, পার্টি, হুল্লোড় যতদিন থাকবে ততদিনই বন্ধুরা আছে”।
নিজের ছেলের প্রসঙ্গ তুলে রচনা বলেন, “আমার ছেলেকে যতই বোঝাই সে ভাবে মা ভুল”। তাই যারা স্বেচ্ছায় চলে যাচ্ছেন তারা জন্য বাবা-মা’র দোষ দিতে রাজী নন অভিনেত্রী।
এই মতের সঙ্গে একমত নই।জন্মের পর শিশু মানে একটি মাটির তাল, তাকে মানুষে রুপান্তরিত করার শিল্পী হলো মা বাবা। কথা আছে Morning shows the day। তার মানে শুরুটা যেভাবে হবে ভবিষ্যত তারই ফল। খুব কম বাবা মা-ই আছে সমাজে যারা ছেলে মেয়ে কে মানুষ করতে চায়, তারা চায় তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী ছেলে মেয়ে তৈরি হোক। সন্তান যে একজন স্বতন্ত্র মানুষ সেটাই আমরা মানিনা, যখর ফলে একটা বয়সের পর ছেলে মেয়েরা মা বাবার চেয়ে বন্ধু বান্ধব কে প্রাধান্য দেয়। সঠিক মানুষ কে বন্ধু হিসেবে বেছে নেওয়ার যে শিক্ষা সেটাই আমরা সন্তানদের দিতে পারিনা। কাজেই ভেবে দেখুন, দোষটা কিন্তু বাবা মায়েরই যারি সন্তানদের একটি সুস্থ সুন্দর জীবন দিতে অক্ষম।
রচনা ব্যানার্জীর বক্তব্য কে আমি পুরোপুরি সমর্থন করি।
রচনা বাস্তব অভিজ্ঞতার উপর ভিত্তি করে বলেছে বলে মনে হয়। তবে সবাই যে একরকম তা নয়। আসল কথা বর্তমান ব্যবস্তাতে উভয় পক্ষকে Negotiate করতে হবে।তবে উপযুক্ত সময়ে ভাল সংস্কার দিলে ছেলেমেয়েরা সঠিক সিন্ধান্ত নিতে পারে। Rigidity কোন পক্ষের থাকা উচিত নয়। তবে মাবাকে নিরপেক্ষ ভাবধারা নিতে হবে।
Atanu chatterjee comment এ নিরপেক্ষতার আভাস পেলাম না।
Kichudin por ma baba hote chaibe keu
অসাধারন বলেছে
Mone rakhun uni thik bolechen chele mey der uchit tader baba maa er kotha sona ….jara boro kore , tader o ekta odhikar ache tara kharap kichu bole na
নিরপেক্ষতা সন্তানের থেকে expect করতে পারি যদি সন্তানের মনে নিরপেক্ষ বিচারের ক্ষমতা তৈরি করতে পারি। আমি সন্তানের বাবা হয়েও এই কথা বলছি, যদিও আমি যে সবসময় এইয কথাটা মাথায় রেখে চলি তাও নয়। অন্যান্য মানুষের মতো আমারও একই ভুল হয়, কিন্তু পরে যুক্তি দিয়ে কথাটা চিন্তা করলে ভুলটা সোধরাবার চেষ্টা করি। এটা মনে রাখা প্রয়োজন যে সন্তান মানুষ করার ক্ষেত্রে কোনো লেনদেন নেই, এই সম্পর্কটা সুধুই দেওয়ার, কিছুই নেওয়ার নেই, যদি কিছু return পাওয়া যায় সেটা উপরি। সন্তান যাতে নিজের বাবা মায়ের আর্থিক এবং মানষিক সিমা সম্মন্ধে ওয়াকিবহাল হয় সেই ভাবে সন্তানকে গড়ে তোলার দ্বায়িত্ব ও বাবা মায়ের। মুর্ত্তি যদি টেড়া বেঁকা হয় তাহলে তার দায় শিল্পির। জন্মানোর পর সন্তানও সেই মাটির তালের মতো নিরাকার, তাকে গড়ার দ্বায়ীত্ব মা বাবার। সবচেয়ে বড় ব্যপার সন্তান মানুষের ক্ষেত্রে কোনো parental ego রাখলে চলবেনা। এই egoটাকে বাদ দিলে বাকি ব্যপারগুলো এমনিতেই চলে আসবে।
Ami Rachana Banerjeer kotha kei somorthon korbo karon sob ma baba rai thader sontaner valo chan kinthu sei sonthan jodi ucchakankhi hoe thar porinothi etai tho savabik.sob somoy educationally agie jethe hoe deta na thakle sobei nosto hoe jae