সংসার চালাতে স্টেশনে বসে ডাব বিক্রি করেছেন, পাড়ায় পাড়ায় তাঁতের শাড়ি বিক্রি করতেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী, পড়লে চোখে জল আসবেই

পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী

বাংলা শাস্ত্রীয় সংগীতে সারা পৃথিবীর মানুষের হৃদয়জুড়ে তাঁর নাম। যিনি তাঁর শাস্ত্রীয় সংগীতের তালিমে বারবার মুগ্ধ হয়েছে সকলে। তিনি হলেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। এমনকি তার কন্যাও সংগীত জগতের অন্যতম একজন। তিনি হলেন গায়িকা কৌশিকি চক্রবর্তী। পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর স্ত্রীও একজন স্বনামধন্য সঙ্গীতশিল্পী।

মাত্র ৭ বছর বয়স থেকেই সংগীত প্রশিক্ষন নিতে শুরু করেন কৌশিকি চক্রবর্তী। ১০ বছর বয়সে তার বাবা পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর গুরু জ্ঞান প্রকাশ ঘোষ মহাশয়ের কাছে গান শেখেন কৌশিকি। এরপর আইটিসিতে গানের একাডেমিতে ভর্তি হন শাস্ত্রীয় সংগীত চর্চায়। ২০০৫ সালে ‘ওয়াটার’ ছবিতে ‘বৈষ্ণব জানা তু’গানটিতে প্লেব্যাক করেন কৌশিকি। এরপর থেকে গানের জগতে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি গায়কা কে।

এমনকি পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীও ছিলেন এক তাঁতী পরিবারের ছেলে‌। তার বাবা একজন তাঁতী হওয়ার পাশাপাশি প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষক‌ও ছিলেন। তার মাও নিজে হাতে তাঁত চালাতেন। ছোটবেলা থেকেই ছিল গানের প্রতি এক অদ্ভুদ টান জন্মায় পন্ডিত অজয় চক্রবর্তীর‌। যার জন্য ব্যাঙ্কে চাকরির সুযোগ পেয়েও করেননি তিনি। স্বপ্ন ছিল বড় শিল্পী হওয়ার। পাশাপাশি পারিবারিক অভাব মেটাতে কখনও মায়ের হাতে বোনা তাঁতের শাড়ি পাড়ায় পাড়ায় বিক্রি করেছেন আবার কখনও শ্যামনগরের স্টেশনে বসে ডাবও বিক্রি করেছেন। দীর্ঘ কষ্টের দিন পেড়িয়ে আজ সংগীত জগতের একজন সফল শিল্পী হলেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী।